শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
উত্তাল দুই কক্ষই

ভারতীয় পার্লামেন্টে এবার মমতার স্স্নোগান 'খেলা হবে'

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ জুলাই ২০২১, ০০:০০
পার্লামেন্টে বিরোধীদের হট্টগোল

পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ, নতুন কৃষি আইন, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতীয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষ। লোকসভায় বিবৃতির কাগজ ছিঁড়ে স্পিকারের দিকে ছুঁড়ে দেওয়ার অভিযোগে ১০ বিরোধী এমপিকে (বেশির ভাগই কংগ্রেসের) 'সাসপেন্ড' করা হয়েছে। হইচই হয়েছে উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়ও। এই পরিস্থিতিতে দুই কক্ষেই বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের সদস্যদের কণ্ঠে শোনা গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী স্স্নোগান- 'খেলা হবে'। সংবাদসূত্র : পিটিআই, এবিপি নিউজ

পার্লামেন্টে এই উত্তেজনার মধ্যেই এদিন রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় পেগাসাস-কান্ড নিয়ে মোদি সরকারকে তুলাধোনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। তার কথায়, 'এই সরকার মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। আইনের তোয়াক্কা করছে না। অভিষেক (বন্দ্যোপাধ্যায়) বা প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) ফোন হ্যাক করার অর্থই হলো, তাদের সঙ্গে আমার সব কথোপকথন জেনে নেওয়া। এই পেগাসাস আসলে এক ভয়ঙ্কর ভাইরাস! এটা আমাদের, আপনাদের সবার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা শেষ করে দিতে পারে। আমার সুপ্রিম কোর্টের ওপর আস্থা রয়েছে। কর্মরত বিচারপতিরা মিলে এর তদন্ত করুন, সত্যিটা সামনে আসুক। আমরা পার্লামেন্ট বিষয়টি তুলছি, কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাতও করছে না।'

এরই মধ্যে রাজ্যসভার অধিবেশনের সম্প্রচার নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়েন। বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের 'মাস্টারস্ট্রোক' আখ্যা দিয়ে টুইটারে তিনি লেখেন, 'পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ১৫টি বিরোধী দলের প্রায় ১০০ সদস্যের বক্তব্য কাটছাঁট করে সম্প্রচার করা হচ্ছে রাজ্যসভা টিভিতে!'

ফোনে আড়ি পাতা, নতুন কৃষি আইন, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিরোধীদের আলোচনার দাবিতে এদিন দফায় দফায় অচল হয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষ। রাজ্যসভায় বিরোধীদের চিৎকার-চেঁচামেচির বিরোধিতা করে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং বলেন, 'মাস্ক না পরে এটা কী ধরনের আচরণ আপনাদের? অন্তত কোভিডবিধি মেনে চলুন।' মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, 'কংগ্রেস ও তৃণমূল সদস্যরা লোকসভার কাজে বাধা দিচ্ছেন। তারা প্রতিবাদ করতেই পারেন, কিন্তু এরও একটা সীমা রয়েছে। তারা স্পিকার, মন্ত্রীদের দিকে কাগজ ছুঁড়ে দিচ্ছেন। আলোচনা না করে বিরোধীরা পালাচ্ছেন কেন?'

এদিকে, রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন উত্তেজনায় অজ্ঞান হয়ে যান তৃণমূল সদস্য শান্তা ছেত্রী। তাকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। অন্যদিকে, ডিএমকে; এমনকি কংগ্রেসেরও কিছু এমপিকে দেখা যায়, 'খেলা হবে' স্স্নোগান দিতে। লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'পেগাসাস নিয়ে আমরা শুরু থেকেই বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি। আজ আমাদের স্স্নোগানই বিরোধীরা ব্যবহার করছেন। লোকসভায় এ বিষয়ে একটা সময় নির্ধারিত করে আলোচনা হোক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে