শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারী মন্ত্রণালয়ের জায়গায় তালেবানের নীতি পুলিশ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

গত মাসে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবান সম্ভবত আফগানিস্তানের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়ে সে জায়গায় এমন একটি মন্ত্রণালয় চালু করছে, যা একসময় কঠোর ধর্মীয় নিয়মকানুন মানতে বাধ্য করত। শুক্রবার আফগানিস্তানের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রণালয়ের প্রতীক সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তার বদলে 'নৈতিকতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়'র প্রতীক বসানো হয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মীদের তালেবানের প্রতি তাদের কাজে ফিরতে অনুমতি দিতে অনুরোধ করতে দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে তালেবান ক্ষমতাচু্যত হওয়ার পরের ২০ বছরে অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নারীরা তাদের জন্য বেশকিছু অধিকার আদায় করে নিতে সক্ষম হলেও এবারের পুরুষসর্বস্ব অন্তর্র্বর্তী সরকার সেই অগ্রগতিকে ধূলিস্মাৎ করে দেবে বলে অনেকের আশঙ্কা।

ক্ষমতা নেওয়ার আগে তালেবান নেতারা বলেছিলেন, আফগানিস্তান যেমন ২০ বছরে অনেক বদলেছে, তারাও বদলেছেন। কিন্তু ক্ষমতা নেওয়ার পর তাদের নীতি ও কর্মকান্ডে ওই কথা ও প্রতিশ্রম্নতির মিল পাওয়া যাচ্ছে না।

তালেবানের আগের শাসনামলে থাকা নৈতিকতা মন্ত্রণালয় ভিন্নমত দমন, নাগরিক বিশেষ করে মেয়ে ও নারীদের ওপর দেওয়া বিধিনিষেধ কার্যকরে সহিংস উপায় অবলম্বন এবং লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ও অবিশ্বাস ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজ করত বলে সমালোচনা ছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।

তালেবান সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, অন্যরা সমালোচনা করলেও তালেবান সদস্যদের কাছে এই নৈতিকতা মন্ত্রণালয় 'খুবই গুরুত্বপূর্ণ'। এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামের সেবা করা, এ কারণেই নৈতিকতা মন্ত্রণালয় থাকা জরুরি। তালেবান প্রথমবার ক্ষমতায় আসার আগেই আফগানিস্তানে এ মন্ত্রণালয় ছিল। কিন্তু ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে এর কর্মকান্ড বিস্তৃত হয়। সে সময় শরিয়া আইন কার্যকরে রাস্তায় রাস্তায় নৈতিকতা পুলিশ মোতায়েন করত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে