শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ভোটগ্রহণ শেষ

ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হচ্ছে জার্মানিতে

ম আজ সকালেই জানা যেতে পারে নির্বাচনী ফল, কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে পূর্বাভাস ম সরকার গঠনে অন্য দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই ঠিক করতে হবে নতুন চ্যান্সেলর
ম যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ছয় কোটির বেশি জার্মান ভোটার। আর এর মধ্য দিয়ে জার্মানিতে অ্যাঙ্গেলা মার্কেল যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয় রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়, চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। যার মধ্য দিয়ে গঠিত হবে জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ- বুন্ডেসটাগ। সংবাদসূত্র : ডিডবিস্নউ নিউজ, বিবিসি

এই নির্বাচনে প্রধান তিন দল হলো- ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ), সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি) ও পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি। তবে কোনো দলই যে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, এটা নিশ্চিত। ভোট-পূর্ব জরিপে এমন আভাস পাওয়া গেছে। ফলে দেশটি পাচ্ছে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট।

ভোটাররা এদিন দুটি করে ভোট দিয়েছেন। একটি ভোট সরাসরি প্রার্থী নির্বাচনের, অন্যটি পছন্দের দলকে। প্রার্থী ও দল ভিন্ন হলেও চলবে। দ্বিতীয় তালিকায় দলীয় সমর্থনের অনুপাতের ভিত্তিতে পার্লামেন্টে অর্ধেক আসনে প্রার্থী স্থির করা হয়। তবে কে চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন, তা রোববারই নির্ধারণ হবে না। পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চ্যান্সেলর নির্বাচিত করবেন।

২৯৯টি সংসদীয় এলাকায় সরাসরি নির্বাচন হয়েছে এদিন। অন্য আসনগুলো দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী মীমাংসিত হবে। নিয়ম অনুযায়ী, দলগুলো তাদের ভোটপ্রাপ্তির সংখ্যাতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেও মনোনীত প্রার্থীদের পার্লামেন্টে পাঠাতে পারবে। কোনো দল পাঁচ শতাংশের কম ভোট পেলে পার্লামেন্টে যাওয়ার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।

এবারের নির্বাচনে ৪৭টি দল ছয় হাজার ২১১ জন প্রার্থী দিয়েছে। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ছয় হাজার। আর ভোটের ফল স্থানীয় সময় রাত ৮টার মধ্যেই প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কথা। সে হিসেবে বাংলাদেশ সময় আজ (সোমবার) সকালের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে সরকারে কে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। সরকার গঠনের জন্য অন্য দলের সঙ্গে জোট বেঁধে পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে কোনো দলকে। ফলে নতুন চ্যান্সেলর কে হবেন, তা জানতেও অপেক্ষায় থাকতে হবে।

বিদায়ী চ্যান্সেলর মার্কেল ভোটের আগে তার দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছেন, জার্মানির প্রয়োজন স্থিতিশীলতা, আর তরুণ জার্মানদের দরকার সুন্দর ভবিষ্যৎ। সুতরাং ক্ষমতায় কে থাকবে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উলেস্নখ্য, এবারের নির্বাচনে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন না অ্যাঙ্গেলা মার্কেল।

এবারের নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী ওলাফ ল্যাশেটের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন মার্কেল। দুটি শেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, সিডিইউ এবং সিএসইউ থেকে ২৬ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি)।

দীর্ঘ ১৬ বছরের নেতৃত্বে চ্যান্সেলর মার্কেল ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির এ দেশকে বদলে দিয়েছেন অনেকখানি। তার দেশে তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে, তরুণ ভোটারদের অনেকে অন্য কোনো চ্যান্সেলরের নামও মনে করতে পারেন না। কিন্তু কে হচ্ছেন মার্কেলের উত্তরসূরি? ভোটের আগে জনমত জরিপে তার স্পষ্ট কোনো আভাস মেলেনি।

ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে এবারই প্রথম নির্বাচনের আগে তিন প্রধান দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীরা টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। তবে ভোটের আগে নিশ্চিত জয়ের আভাস পাননি কেউই। সর্বশেষ জনমত জরিপ বলছে, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি খুব সামান্য ব্যবধানে মার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের চেয়ে এগিয়ে আছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, ভোট শেষে যে দলই এগিয়ে থাক, সরকার গড়তে তাদের জোটের শরণ নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে