শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সু চির বিরুদ্ধে প্রথম মামলার রায় হঠাৎ স্থগিত

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
অং সান সু চি

সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারের একটি আদালত ক্ষমতাচু্যত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে প্রথম রায় ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে মামলার প্রথম রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালতে এই রায় ঘোষণা হঠাৎ করেই স্থগিত করা হয়। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এ তথ্য দিয়েছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, বস্নুমবার্গ, এপি

চলতি বছর ১ ফেব্রম্নয়ারি অভু্যত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দলের বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।

অভু্যত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সি গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলো যেসব অভিযোগে করা হয়েছে, সেসব হলো- রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্য সংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতি। গত জুন থেকে রাজধানী নেইপিডোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

মঙ্গলবার সু চির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও বাড়তি আরেক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। মিয়ানমারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যগত কারণে এর আগে আদালতের সামনে সাক্ষ্য দিতে পারেননি জাও মিন্ট মং নামে এক ব্যক্তি। তবে ওই ব্যক্তি এখন আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিতে চান এবং আদালত আসামিপক্ষের ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

এর আগে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার অভিযোগে মঙ্গলবার অং সান সু চির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী, এই অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও তিন বছরের কারাদান্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে একইভাবে সু চির পাশাপাশি মিয়ানমারের ক্ষমতাচু্যত সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সহ-আসামি উইন মিন্টেরও একই কারাদন্ড হতে পারে।

অবশ্য রায়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার অথবা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও কোনো তথ্য সামনে আনেনি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ওপরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন বিচারক। ওইদিন আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হলে সাক্ষ্য দেবেন জাও মিন্ট মং নামের সেই ব্যক্তি। তবে মঙ্গলবার স্থগিত হওয়ার পর রায় ঠিক কবে ঘোষণা করা হবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে