রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন নারী হলে ইউক্রেন আক্রমণ করতেন না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জার্মান সম্প্র্রচার মাধ্যম জেডডিএফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন বরিস। দক্ষিণ জার্মানিতে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের পর জেডডিএফের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে লিঙ্গসমতা ও শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বরিস বলেন, বিশ্বে ক্ষমতায় আরও বেশি নারী দরকার।
বরিস বলেন, পুতিন যদি নারী হতেন, যদিও তিনি স্পষ্টত তা নন, কিন্তু যদি হতেন, তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট এভাবে উন্মত্ত-পৌরুষপূর্ণ একটি যুদ্ধ ও সহিংসতা শুরু করতেন বলে তিনি সত্যিই মনে করেন না।
বরিস আরও বলেন, 'আপনি যদি বিষাক্ত পৌরুষের একটি নিখুঁত উদাহরণ চান, তবে তিনি (পুতিন) ইউক্রেনে যা করছেন, সেটিই তা।' স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে বরিসের কাছ থেকে এমন মন্তব্য এল।
ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগির শেষ হওয়ার বিষয়ে কোনো আশার কথা শোনাতে পারেননি বরিস। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুদ্ধ অবসানে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সম্ভাব্য কোনো চুক্তির দেখা এখন পর্যন্ত মেলেনি।
তবে বরিস বলেন, জি-৭ নেতারা খুব করে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি চান। পশ্চিমাদের অবশ্যই ইউক্রেনের সামরিক কৌশলকে সমর্থন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার মাদ্রিদে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনে বরিস ন্যাটোর সদস্যদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে আহ্বান জানাবেন।
সম্মেলনে ন্যাটো জোটের নেতারা কিভাবে ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলা করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাশিয়া সৃষ্ট হুমকির প্রেক্ষাপটে গতকাল যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস প্রধানমন্ত্রী বরিসকে ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ব্যয় আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এ হামলার জেরে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের চরম উত্তেজনা চলছে।
ইউক্রেনে হামলার জেরে চলমান ন্যাটো সম্মেলনে রাশিয়াকে এই সামরিক জোটের নতুন কৌশলগত ধারণায় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে।
রুশ হামলা শুরুর পর নিরাপত্তা-শঙ্কা থেকে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, জোটের নেতারা বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাবেন।