সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার ফয়সালাবাদের আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। সোমবার দেওয়া ওই হিসাব অনুসারে ইমরানের অন্যান্য সম্পদের সঙ্গে চারটি ছাগল আছে। অপরদিকে তার স্ত্রী বুশরা মানেকার কোনো অলঙ্কার বা জুয়েলারি নেই।
'পাকিস্তান টুডে'-এর প্রতিবেদন অনুসারে, 'পাকিস্তানের ১০৮ নম্বর আসন (ফয়সালাবাদ-৮) থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ইমরান ও তার স্ত্রী তাদের মালিকানাধীন সম্পদের
হিসাব দেন।'
এ সময় সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী দেশটির নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) তার সম্পদ এবং জিনিসপত্রের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। এতে দেখা গেছে তার মোট সম্পদের মূল্য প্রায় ৩০৪.২ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। ভাক্কর জেলায় উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি দুটি বাড়ি ও ২২৮ কানাল জমি পেয়েছেন। তার কোনো অলঙ্কার বা জুয়েলারি নেই। এছাড়া তিনি ইসলামাবাদের কনস্টিটিউশন অ্যাভিনিউতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি বাণিজ্যিক পস্নটেরও মালিক। সেখান থেকে তিনি ভাড়া হিসেবে ১.৪ মিলিয়ন রুপি পান।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান তার চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকানার কথা জানিয়েছেন। তবে এটিও বলেছেন যে তিনি কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করেননি। তার কাছে নগদ ১১.২২ মিলিয়ন রুপি রয়েছে। এছাড়া তার কাছে ০.২ মিলিয়ন রুপি মূল্যের চারটি
ছাগল রয়েছে।
ইমরান খান বলেছেন, তিনি তার পৈতৃক জামান পার্ক বাড়ি নির্মাণে ৪৮.৬৬ মিলিয়ন রুপি ব্যয় করেছেন এবং বানিগালায় অতিরিক্ত একটি নির্মাণকাজে ৪.৯ মিলিয়ন রুপি ব্যয় করেছেন। তবে মনোনয়নপত্রে তিনি তার সন্তানদের বিস্তারিত সম্পদের কথা উলেস্নখ করেননি।
মনোনয়নপত্র অনুযায়ী, ইমরানের স্ত্রী মানেকার পাকপত্তন ও ওকারায় ৬৯৮ কানাল কৃষি জমির মালিকানা আছে। এছাড়া বানিগালায় তিন কানালের একটি বাড়ি আছে। তবে স্বামী ইমরানের মতো মানেকারও কোনো গহনা নেই। সূত্র : পাকিস্তান টুডে