শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মানিতে ব্যাপক পরিবহণ ধর্মঘট, স্তব্ধ জনজীবন

যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
ধর্মঘটে অচল জার্মানি

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় শ্রমিক ধর্মঘটে স্থবির হয়ে পড়েছে। ধর্মঘটের কারণে সোমবার দেশটিতে ট্রাম-বাস, ট্রেন, বিমান চলেনি। গোটা দেশ এদিন প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে। মূল্যস্ফীতির মুখে বেতন ও মজুরি বাড়াতে এভাবে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, ডিডবিস্নউ নিউজ

রোববার মাঝরাত থেকে সোমবার মাঝরাত পর্যন্ত জার্মানিতে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ করে দিতে বিশাল 'সতর্কতামূলক' ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিষেবা ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শ্রমিক সংগঠন ভ্যার্ডি এবং রেল ও পরিবহণ ক্ষেত্রের শ্রমিক সংগঠন ইভিজি। ভ্যার্ডির সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ এবং ইভিজির প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার।

সরকার ও পৌর স্তরের শ্রমিক-কর্মীদের জন্য মোটা অংকের বেতন বৃদ্ধির দাবি করছে তারা। ভ্যার্ডি ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি চাইছে, ইভিজি চাইছে ১২ শতাংশ। সোমবারই মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি আবার শুরু হীডার কথা। ভ্যার্ডির মতে, প্রথমে করোনা মহামারি, তারপর ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় মূল্যস্ফীতির কারণে শ্রমিক-কর্মীদের দুরবস্থা অন্তত কিছুটা হলেও লাঘব করতে এই দাবি ন্যায্য।

সাম্প্রতিক সময়ে গোটা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন অঞ্চল ও ক্ষেত্রে ধর্মঘটের মাধ্যমে কর্মদাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। ভ্যার্ডির প্রধান ফ্রাংক ভ্যার্নেকে বলেন, এটা হাজার হাজার কর্মীর বেঁচে থাকার প্রশ্ন।

অন্যদিকে, সরকার ও পৌর স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিক সংগঠনের এই দাবিকে অবাস্তব বলে বর্ণনা করছে। তাদের মতে, সরকারি কোষাগারে এমন অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট অর্থ নেই। বিশেষ করে পরিবহণ ক্ষেত্রে বেতন বেশি বাড়ালে ভাড়া ও বাড়তি কর চাপিয়ে সেই অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। জার্মানির রেল সংস্থা 'ডয়চে বান' এই ধর্মঘটকে সম্পূর্ণ মাত্রাহীন, ভিত্তিহীন ও অপ্রয়োজনীয় হিসেবে বর্ণনা করেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে রাশিয়া থেকে সস্তায় গ্যাস সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জ্বালানির দাম হু-হু করে বেড়ে গেছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য থেকে শুরু করে বাসাভাড়া এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেছে। জ্বালানি সংকট দেখা না দিলেও মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ব্যর্থ হয়েছে জার্মান সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে