সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
চলছে জোরালো সংঘর্ষ

আমেরিকার কাছে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায় ইউক্রেন

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

রুশ বাহিনীর সঙ্গে লাগাতার সংঘর্ষের মাঝেই আমেরিকার কাছে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চেয়েছে ইউক্রেন। ন্যাটোয় যোগদানের আগের ধাপ হিসেবে সেই আশ্বাস আদায় করতে ওয়াশিংটনে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ। এদিকে, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোরালো সংঘর্ষ চলছে। রোবাবর রাতে খারকিভ শহরে রুশ বাহিনী জোরালো হামলা চালিয়েছে। এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুই দেশই সাফল্যের দাবি করছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স, এএফপি

ইউক্রেনের মতে, প্রতিরোধ চালানোর পাশাপাশি কিছু এলাকা রুশ বাহিনীর দখল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করছে, ইউক্রেনের সেনারা আর এগোতে পারছে না। সেই সঙ্গে রাজধানী মস্কোয় ইউক্রেনের তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববারের দিনটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে 'ভালো ও শক্তিশালী' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশেষ করে বাখমুত শহরের কাছে ইউক্রেনের সেনারা আরও এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাচ্ছে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। তবে মস্কোয় ড্রোন হামলার দায় স্বীকার না করলেও জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ এবার ধীরে ধীরে রাশিয়ার ভূখন্ড, বিশেষ করে প্রতীকী কেন্দ্রে ফিরে যাচ্ছে। রোববার পশ্চিম ইউক্রেনের ইভানো-ফ্রাংকিভস্ক শহর থেকে এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন শক্তিশালী হচ্ছে। তথাকথিত 'বিশেষ সেনা অভিযানের আজ ৫২২তম দিন। রুশ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ভেবেছিলেন, এই অভিযান সপ্তাহ দুয়েকের বেশি চলবে না। ধীরে ধীরে যুদ্ধ রাশিয়ার মাটিতে ফিরে যাচ্ছে। আর এটিই স্বাভাবিক, অবশ্যম্ভাবী এবং সম্পূর্ণ ন্যায্য।'

অন্যদিকে, ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হানা মালিয়ার বলেন, বাখমুত এলাকায় ইউক্রেনের সাফল্যের মুখে রাশিয়া মরিয়া হয়ে অন্য অঞ্চলে হামলা চালিয়ে চাপ বাড়াতে চাইছে। বিশেষ করে খারকিভ অঞ্চলে উঁচু অবস্থান থেকে ইউক্রেনের সেনাদের সরানোর চেষ্টা করছে মস্কো। যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়া সেই এলাকা দখল করলেও পরে সেটা হাতছাড়া হয়ে যায়। মালিয়ারের দাবি, খারকিভ অঞ্চলেও বাখমুতের মতো বিপুল সংখ্যক রুশ সেনা প্রাণ হারিয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে অদূর ভবিষ্যতে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়া যে অবাস্তব স্বপ্ন, ইউক্রেন তা বুঝতে পারছে। তবে ন্যাটোর কাছ থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি আদায়ের লক্ষ্যে তৎপর হয়ে উঠেছে কিয়েভ। আর সেই মতো আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ওয়াশিংটনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেনস্কির সরকার। প্রেসিডেন্ট দপ্তরের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক রোববার 'টেলিগ্রাম' চ্যানেলে এ কথা জানিয়েছেন। তার মতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জয়ে সাহায্য হিসেবে আমেরিকার কাছ থেকে স্পষ্ট ও দীর্ঘমেয়াদি আশ্বাস চায় ইউক্রেন। সেটা সম্ভব হলে রাশিয়া ভবিষ্যতে আর হামলা চালাতে পারবে না। ইয়েরমাকের মতে, ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য হওয়ার আগের ধাপ হিসেবে এমন আশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে