সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) বাজাউর জেলায় জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ)-এর কর্মী সম্মেলনে রোববারের বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী হামলা বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রিয়াজ আনোয়ার। তিনি বলেছেন, বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬ জন। এ ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংবাদসূত্র : ডন, এএফপি

এদিকে, রাজনৈতিক সমাবেশে বিস্ফোরণের দৃশ্যের একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, একটি বড় সমাবেশে বহু সংখ্যক দলীয় কর্মী উপস্থিত রয়েছেন এবং বিস্ফোরণের সময় তারা কোনো একজন নেতার বক্তব্য শুনছেন। অনলাইনে প্রচারিত অন্যান্য ভিডিও ক্লিপগুলোতেও দেখা যাচ্ছে, সমাবেশের জন্য তৈরি মঞ্চের কাছেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে; যেখানে দলের বেশ কয়েকজন নেতা বসেছিলেন। দলের একজন নেতা সমাবেশে উপস্থিত মানুষের সামনে কথা বলার সময় মঞ্চের ডান পাশে ওই বিস্ফোরণটি ঘটে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন আবদুলস্নাহ খান নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, 'বিস্ফোরণের পর তাঁবুটি একপাশে ভেঙে পড়ে। এতে যারা মরিয়া হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন, তারা সেখানে আটকা পড়েন।'

সোমবার খাইবার পাখতুনখাওয়া পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী 'আইএসআইএস' এই হামলার পেছনে রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, 'আমরা এখনো বাজাউর বিস্ফোরণের বিষয়ে তদন্ত এবং তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, নিষিদ্ধ সংগঠন দায়েশ (আইএসআইএস) এই হামলায় জড়িত রয়েছে।'

রোববারের ওই সমাবেশে চার শতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়েছিলেন। জেলা পুলিশ অফিসার নাজির খান জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুলিশ তিন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নিয়েছে। প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত খান বলেন, সমাবেশে বিস্ফোরণ ঘটাতে ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সম্মেলনের সামনের সারিতে বসা ব্যক্তিদের মধ্যে বোমা হামলাকারীও ছিল। আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের প্রত্যন্ত সাতটি জেলার মধ্যে বাজাউর অন্যতম। একসময় অঞ্চলটি 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'র কেন্দ্রবিন্দু ছিল। গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লক্ষণীয় অবনতি হয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো একের পর এক প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে