সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সম্পদ জব্দ

আমেরিকা ও ইউরোপকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর আমেরিকা ও ইউরোপে রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করা হয়। এখন খবর বেরিয়েছে, এসব সম্পত্তি ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও ইউরোপকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেমলিন। বলা হয়েছে, রাশিয়ার সম্পত্তি যদি ইউক্রেনকে দেওয়া হয়, তাহলে আমেরিকা ও ইউরোপকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া পাল্টা পদক্ষেপের পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্ক চ্ছিন্ন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। সংবাদসূত্র : গার্ডিয়ান, পার্স টুডে

রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাইডেন প্রশাসন ও ইউরোপের নেতারা যদি রাশিয়ার সম্পত্তি জব্দ করে রাখে তাহলে রাশিয়াও তাদের ছেড়ে দেবে না।

এর আগে 'নিউ ইয়র্ক টাইমস'র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পত্তির বিষয়ে জি-৭ ভুক্ত দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাইডেন প্রশাসন। এসব সম্পত্তি ইউক্রেনের যুদ্ধ সহায়তায় ব্যয় করা যায় কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত পাস হয়নি। তবে আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে, কারণ মার্কিন সামরিক প্যাকেজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রিপাবলিকান পার্টি।

পত্রিকাটি বলেছে, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পশ্চিমা যেসব ব্যাংকে তাদের সম্পদ জমা রেখেছে, সেখান থেকে ৩০ হাজার কোটি ডলার বাজেয়াপ্ত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মার্কিন প্রশাসন তার মিত্রদের সঙ্গে জরুরি আলোচনা শুরু করেছে। আর এ আলোচনা এমন সময় শুরু হলো, যখন মার্কিন প্রক্সি যুদ্ধের জন্য বাইডেন প্রশাসনের হাতে বরাদ্দ করা তহবিল অনেক কমে গেছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার খবর বেরিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য কিয়েভকে দেওয়ার মতো অর্থ বাইডেন প্রশাসনের হাতে নেই।

এর আগে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে আইনি রক্ষণশীলতার কথা বলে আসছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, মার্কিন আইন অনুসারে কংগ্রেসের পদক্ষেপ ছাড়া রাশিয়ার তহবিল জব্দ করা যাবে না। কিছু উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যেও উদ্বেগ রয়েছে, রুশ অর্থ জব্দ করা হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের তহবিল নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে বা ডলারে রাখতে দ্বিধা করবে।

এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, 'ইউরোপ ও আমেরিকায় মূল এজেন্ডা আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে জব্ধ করা। আগামী ফেব্রম্নয়ারিতে যুদ্ধের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে আরও সম্পত্তি জব্দের জন্য ইউরোপকে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। এই ইসু্য আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। এ ছাড়া এই সিস্টেম আন্তর্জাতিক অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে