শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

পাঠাগার কেন প্রয়োজন?

আলী আরমান রকি শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

পাঠাগার শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ করলে হয় পাঠ+আগার। অর্থাৎ পাঠাগার হলো পাঠ করার উপাদান সজ্জিত আগার বা স্থান। বিশদভাবে বলা যায় পাঠাগার হলো বই, পুস্তিকা ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রীর একটি সংগ্রহশালা যেখানে পাঠকের প্রবেশাধিকার থাকে এবং পাঠক সেখানে গবেষণা ও তথ্যানুসন্ধ্যান করতে পারে। মানুষের বই পড়ার আগ্রহ থেকেই পাঠাগারের সৃষ্টি। শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে মানুষের জ্ঞান জমা হয়ে থাকে পাঠাগারের বইয়ের পাতায়। আর সেই বইয়ের আবাসস্থল হলো পাঠাগার। আমাদের দেশে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানুষ সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করতে পারছে শুধু বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য নয়, মনের জন্যও খাদ্য প্রয়োজন। পাঠাগার মানুষের ক্লান্ত ও বুভুক্ষু মনকে প্রফুলস্ন করতে পারে। পছন্দমতো জিনিসের সন্ধান দিয়ে তার মনের খোরাক জোগাতে সাহায্য করে। দেহের জন্য খাবার গ্রহণের বেলায় একেক জনের রুচিভেদ ও পছন্দ একেক রকম হয় তেমনি মনের বেলায়ও অনুরূপ। কেউ কবিতার বই পড়তে পছন্দ করে, কারও ভালো লাগে গল্প, আবার কারও কারও নাটক বা উপন্যাস ভালো লাগে। এ ছাড়া কারও প্রিয় দর্শন কারও বা ইতিহাস। কেউ খোঁজেন অর্থনীতিবিষয়ক বই, আবার কেউ খোঁজেন পদার্থ, রসায়ন বা জীববিজ্ঞানসংক্রান্ত বই। অনেকেই দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধ্যান করে থাকেন। তারা এসব শত শত বছরের পুরাতন বইপত্র, পুঁথি, পত্রিকা থেকে বের করেন নিজের চাহিদার খোরাক। আসলে জীবনে জ্ঞানের প্রয়োজন অপিরসীম। আর জ্ঞান তৃষ্ণা নিবারণ করতে প্রয়োজন পাঠাগার। একটি সমাজের রূপরেখা বদলে দিতে পারে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার। গবেষকরা মনে করেন, মনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পাঠাগারের অবদান অনস্বীকার্য। তাই শহরের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামে-মহলস্নায় পাঠাগার গড়ে তোলা প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে