রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

নিয়ন্ত্রণ করুন
নতুনধারা
  ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর আবার অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। ব্রয়লার মুরগি, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ঈদের আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৫ টাকা। বর্তমানে সে পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ছিল ২৫ টাকা কেজি, সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। ৭শ টাকা কেজির চাষের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা। নদীর চিংড়ির কেজি দেড় হাজার টাকা। রুই মাছের কেজি ৫০০ টাকা, আইড় মাছের কেজি আটশ থেকে এক হাজার টাকা। ৩০০ টাকা কেজির পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। চালের দামও কমছে না। সব ধরনের সবজির দাম চড়া। শশার কেজি এখনো ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মাঝারি সাইজের একটি লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁকরলের কেজি ১০০ টাকা, লতির কেজি ৮০ টাকা। কম মূল্যের কোনো পণ্যই বাজারে নেই। আর চিনির কথা তো বলাই বাহুল্য। সরকার নির্ধারিত দামে চিনি মিলছে না।

একেক সময় একেক অজুহাত তুলে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ আছে। তা সত্ত্বেও বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। মূলত এটা বাজার ব্যবস্থাপনায় সমস্যা। এ ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের কালোবাজারি এবং অতিমুনাফা লাভের প্রত্যাশা লুকিয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের বেঁধে দেয়া দাম বাজারে কার্যকর হচ্ছে কিনা, কেউ উচ্চ লাভের আশায় মজুতদারি করেছে কিনা। এসব মনিটরিং করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব মনিটরিং করছে। এ কথা ঠিক, যখন সংকট তৈরি হয় তখন অনেক সময় বড় করে সেটাকে দেখিয়ে কেউ কেউ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। নিত্যপণ্যের দাম কারা বাড়ায় তা সবারই জানা। এটা সিন্ডিকেটের কারসাজি। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের অজুহাতের শেষ নেই। তারা একেক সময় একেক অজুহাত দাঁড় করায়। তারা খাদ্যে ভেজালও দেয়। এই চিত্র বদলানো কঠিন।

আমরা মনে করি, ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হলে চলবে না। তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণও করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এরা জনগণের স্বার্থের দিকে কখনোই নজর দেয় না। এরা বাজারসন্ত্রাসী। কীভাবে অসৎ উপায় অবলম্বন করে দ্রম্নত ধনী হওয়া যায় সেটাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। বাজারে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের অসহায় জনগণকে জিম্মি করে তারা পকেট কাটবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন যতদিন না ঘটবে ততদিন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির থাকবেই এবং দেশের জনগণও তাদের কাছে জিম্মি থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে