রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠক মত

নতুনধারা
  ২৯ মে ২০২৩, ০০:০০

তরুণ প্রজন্ম কেন নেশায় আসক্ত

যে বয়সে হাতে থাকবে বই-খাতা কিংবা খেলাধুলার সরঞ্জাম, বর্তমানে সেই বয়সেই তরুণ প্রজন্মের হাতে থাকে সিগারেট আর মোবাইল! বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মাঝে মাদক এক ভয়ংকররূপে হানা দিয়েছে। যার শৃঙ্খলে প্রতিনিয়ত বন্দি হচ্ছে দেশের অসংখ্য তরুণ-তরুণী। বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, এলএসডি, আফিম ও ইয়াবা ইত্যাদির অবাধ ব্যবহার। দেশে নেশার যে উপাদান তার অধিকাংশই আসে পাশের দেশগুলো থেকে। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এসব ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য তরুণদের হাতে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। অবশ্য, এই সহজলভ্যতা মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ। প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, নিঃসঙ্গতা ও সঙ্গদোষ এগুলোর কারণে অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। সাধারণভাবে খেয়াল করলে বোঝা যায়, ঢাকা শহরের বাচ্চাদের শিশুকাল, শৈশব ও কৈশোর বলতে কিছু নেই। নেই কোনো খেলার মাঠ, পুকুর, নদী, বন-জঙ্গল। এদের বেশির ভাগ গ্রাম দেখেনি। তারা শুধু কবুতরের খাঁচার মতো ফ্ল্যাট বাড়িতে বন্দি থাকে। ৩/৪ বছর বয়স হলেই এদের বাবা-মা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায়। সঙ্গে নাচ, গান, ছবি, আঁকা এগুলো শিখানোর জন্য। ভোর ৬/৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই কচি কচি বাচ্চাগুলো কতকিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এদের শারীরিক মানসিক সুস্থতা থাকে না। এরা অত্যন্ত অস্থির চিত্তের শিশু হিসেবে বেড়ে ওঠে। এদের অনেকেই পরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এই প্রজন্মকে সুস্থভাবে বাঁচাতে হলে প্রথমে বাবা-মা তথা পরিবার, একইভাবে সমাজ এবং প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে যা এখন সময়ের দাবি।

জীবন খান শিক্ষার্থী

নোয়াখালী চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ

যত বিশৃঙ্খলা সড়কে

'নিরাপদ সড়ক আন্দোলন' ২০১৮ সালের পর সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোতে নড়েচড়ে বসা প্রশাসন যেন আবারও ঘুমন্ত অবস্থায়। দুঃখজনক হলো, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এত বড় একটা আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন সত্ত্বেও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি। ফুটওভার ব্রিজের তেমন ব্যবহার নেই, নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া রাস্তার যেখানে-সেখানে যাত্রী নামানো-ওঠানোসহ চালকদের মধ্যে অবৈধ প্রতিযোগিতা ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের দৌরাত্ম্য কমেনি। আছে ফিটনেসহীন ও মানহীন গণপরিবহণ এর ছড়াছড়ি। রাজধানীর প্রায় অধিকাংশ বাসের লুকিং গস্নাস নেই এ ছাড়া ইন্ডিকেটর, ব্যাক লাইট ছাড়াই সড়কে বেপরোয়াভাবে চলছে গাড়ি। আর এসব কারণেই মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে, ফিরছে না সড়কে শৃঙ্খলা। প্রতিনিয়ত যাচ্ছে প্রাণ, অনেকেই হচ্ছে পঙ্গু। তাই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন, গাড়ির ফিটনেস ও জনসচেতনতা সৃষ্টি পুনরায় প্রয়োজন।

রাকিব হাসান

ঢাকা কলেজ, ঢাকা

\হ

একই দিনে একাধিক চাকরির পরীক্ষা কাম্য নয়

আমাদের দেশে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে প্রত্যেকটা ছাত্রছাত্রীর একটাই লক্ষ্য থাকে চাকরি পেতে হবে। গ্রাজুয়েশন শেষ প্রত্যেকটা ছাত্রছাত্রী চাকরির পিছনে দৌড়ায়। বিসিএস থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা ক্ষেত্র পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর যখন চাকরির জন্য ফরম ফিলাপ করে তখন দেখতে পাওয়া যায় আবেদনে ফি জোগাতে অনেকের অর্থগত হিমশিম খেতে হয়। চাকরির আবেদন করার দীর্ঘ দিন পর যখন চাকরির পরীক্ষা আসে, তখন দেখা যায় দুই-তিনটা চাকরির পরীক্ষা একসঙ্গে পরে। যার ফলে অনেকেই একটি পরীক্ষা একটা দিতে পারে; কিন্তু বাকি পরীক্ষাগুলো দেওয়ার সুযোগ থাকে না। কারণ একসঙ্গে পরীক্ষার দিন নির্ধারিত হওয়ার কারণে পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়, কোনো কিছু একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তাই চাকরি পরীক্ষাজট নির্মূল করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। এক দিনে যেন একটা পরীক্ষা দেওয়া হয়। তাই পরীক্ষার জট কমানোর জন্য এক সঙ্গে পরীক্ষা না দিয়ে আলাদা আলাদা দিন পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করলে পরীক্ষার জট কমানো যাবে। এতে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুবিধা হয়। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখবেন।

তামিম হোসেন শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ

ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন

রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে রাজধানীতে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দুর্ঘটার স্বীকার হচ্ছেন পথচারীরা। সরকার লাখ লাখ টাকা খরচ করে রাজধানীজুড়ে ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করলেও অসচেতনার কারণে তা ব্যবহার করছে না নগরবাসী। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। অথচ নগরবাসীর একটু সচেতনতাই পারে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা কমাতে। পথচারীরা নির্বিঘ্নে রাস্তা পারাপার সেই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় সাধারণত ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা হয়। কিন্তু অনেকেই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে নারাজ। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, অনেক পথচারী চিন্তা করে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার জন্য বেশি সময় প্রয়োজন তাই অনেকেই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। ফলে অনেকে দুর্ঘটনার স্বীকার হয় যা কাম্য নয়। আমাদের উচিত রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করা- নিজে সচেতন হই এবং অন্যকেও সচেতন করি।

সাকিবুল হাছান

ঢাকা কলেজ

ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে