সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

কেমন আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

নতুনধারা
  ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যদি প্রশ্ন করা হয়, কেমন আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো? তাহলে এর উত্তর অবশ্যই ভালো হবে না। কারণ, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান পরিস্থিতি আর ভালো নেই। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নানা রকম অশালীন ও বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব বিশ্ববিদ্যালয় এখন করুন পরিস্থিতির শিকার। বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝার জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে একটু আলোকপাত করা যাক। সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই বিভাগেরই এক ছাত্রী। পরদিন এটি উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দেন প্রক্টর। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপক নাদির জুনাইদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন ওই বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী। প্রায় সব সময়ই এ রকম যৌন নিপীড়ন ও হয়রানিমূলক কর্মকান্ডের শিকার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন একটি উঁচু মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যখন এমন নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটে তখন বিষয়টি সত্যিই লজ্জাজনক।

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একই অভিযোগ উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধেও। অর্থাৎ ঢাবির মতোই যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষক একই বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন। পরে ওই ছাত্রী উপাচার্যের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে নামে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আন্দোলন এখনো চলমান। তীব্র আন্দোলনের মুখে এবং ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করে ওই শিক্ষককে স্থায়ী চাকরিচূূত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আয়তনে সবচেয়ে বড় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঢাকা। তাই দেশের প্রায় সব জেলার শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। কিন্তু এ রকম লজ্জাজনক ঘটনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ কমাবে।

মনের দুঃখ কাকে শোনাই। পত্রিকার পাতায় চোখ বুলালেই শুধু যৌন নিপীড়নের মতো নিকৃষ্ট খবর চোখের সামনে ভেসে ওঠে। স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কুলাঙ্গার। বিশ্ববিদ্যালয়টির মীর মশাররফ হোসেন হল ও হলসংলগ্ন এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীকে আটকও করা হয়। কিন্তু আন্দোলন থামেনি। কারণ, শুধু ধর্ষণই নয়, আরও নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ড রয়েছে এখানে। এ জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে তাদের দাবি হলো- ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি, অছাত্রদের হল থেকে বিতাড়িত করা; গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা; যৌন নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তিসহ ক্যাম্পাসে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করা ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ইত্যাদি।

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলো নিয়ে আমি যখন ভাবছি, এমন সময় হুট করে চোখের সামনে ভেসে আসে আরেকটি নিকৃষ্ট ঘটনার খবর। ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আবদুল জব্বারের মোড় থেকে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক সিএনজিচালক পেছন থেকে এসে অশালীনভাবে ওই নারী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেয়। শিক্ষার্থীরা ওই সিএনজিচালককে ধরার চেষ্টা করলেও সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওই ঘটনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে রোববার বিক্ষোভ করেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। পরে ঘটনার দুদিনের মধ্যে অভিযুক্ত সিএনজিচালককে আটক করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এভাবেই ঘটছে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা। কখনো শিক্ষক দ্বারা, কখনো ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দ্বারা, কখনো সিএনজি চালক দ্বারা, কখনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা। কোথাও যেন আর মানুষ নেই। মানুষ যেন এখন জানোয়ার হতে দ্বিধা করে না।

দেশের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে শুধু যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা ঘটে, তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন এখন অপকর্মের কারখানা। যত অপকর্ম আছে এর প্রায় সবগুলোই ঘটে। এমন খবর আমরা প্রায়ই পেয়ে থাকি। মারামারি, কাটাকাটি, লুটতরাজ, মদ, গাঁজা, কিশোর গ্যাং, বহিরাগত প্রবেশে ইভটিজিং, হলের খাবারের মান, শাটল ট্রেনে গাদাগাদি অবস্থা ইত্যাদি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিত্যদিনের ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি নিয়ে আমরা জেনেছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আতঙ্কিত পরিস্থিতি যেমন বিভিন্ন গ্রম্নপের মধ্যে মারামারি নিয়ে জানা যাক। শুরুতেই আসি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর নিয়ে। ১২ ফেব্রম্নয়ারি ২০২৪, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টিমের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিম যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শত শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে ঢাবি ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়দের ওপর অতর্কিত ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হামলা চালায়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের ৫-৬ জন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি যেন এখন একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কাউকে পরোয়া করে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও এই মারামারি বন্ধ করতে ব্যর্থ। এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে লাঠিসোঁটা, রামদাসহ ধারাল অস্ত্র নিয়ে বারবার সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। সম্প্রতি সংঘর্ষে জড়ানো ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ হলো সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। ছাত্রলীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় চায়ের দোকানে চেয়ারে বসা নিয়ে দুই পক্ষের দুই কর্মীর কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির জেরে সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়। ওই রাতের সংঘর্ষের ঘটনা পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তবে দুই পক্ষের উত্তেজনা কমেনি। জানা যায়, সিএফসির কয়েকজন কর্মী স্টেশন এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ এলাকায় যেতে হলে শাহজালাল হলের সামনে দিয়ে যেতে হয়। শাহজালাল হলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সিক্সটি নাইনের। এ সময় সিএফসির সঙ্গে সিক্সটি নাইনের কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর রেশ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এর আগে গত বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে সিক্সটি নাইন পক্ষটি সোহরাওয়ার্দী হলের বিজয় (মুখো) নামের অপর পক্ষের সঙ্গে দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আহত হন ১৫ জন। এভাবেই ছোট ছোট বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ছাড়া মাঝে মাঝে সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর আসে, মাঝে মাঝে ছাত্রলীগ নেতার অবৈধ কর্মকান্ড প্রকাশ হয়, চাঁদাবাজি ইত্যাদি নানা অপকর্মে ভরপুর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমানে কোনো কমিটি নেই। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর কমিটি বাতিল করে কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ১১টি পক্ষে বিভক্ত। এর মধ্যে আ জ ম নাছিরের ৯টি আর বাকি দুটি মহিবুল হাসানের পক্ষ বলে পরিচয় দেন। বিবদমান সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এবারই প্রথম নয়? এর আগে গত পাঁচ বছরে এই দুটি পক্ষের মধ্যে অন্তত ১৬ বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সর্বশেষ মারামারির ঘটনা ঘটে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (কনসার্ট) ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গভীর রাতে টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। এতে সংগঠনটির বিভিন্ন পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এভাবেই চলছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলো। কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তশিষ্ট পরিবেশ নেই। সদা সর্বদা আন্দোলন চলমান। কখনো কখনো অনশন করে আন্দোলন করতেও দেখা যায়। যেমন- গত দুই-এক বছর আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শান্তিতে থাকতো, তাহলে এত এত আন্দোলন হতো না। বিশ্ববিদ্যালয় হলো স্বাধীন চিন্তা-ভাবনার জায়গা। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের একটি স্থান। এখানে পড়াশোনা করেই বুদ্ধিজীবী তৈরি হয়। একটি দেশ নিয়ন্ত্রিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা। কারণ, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এখানে আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বড় বড় ক্যারিয়ারে অবস্থান নেয় তরুণ-তরুণীরা। এ জন্য শত সংগ্রাম আর পরিশ্রম করে এখানে ভর্তি হতে আসে শিক্ষার্থীরা। রাতকে দিন আর দিনকে রাত বানিয়ে এই সংগ্রামে সফল হতে হয়। কিন্তু এত সংগ্রামের পর যখন একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এমন অশ্লীল, অশালীন, অপকর্মকান্ড দেখতে পায় তখন সে বড়ই হতাশ হয়ে পড়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা এই যন্ত্রণায় বেশি ভোগে। যেখানে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজনরা তার উচ্চ ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখছে, সেখানে একজন মধ্যবিত্তের সন্তান হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে। এর মূল কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লজ্জাজনক পরিস্থিতি যেমন- যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি। আর মারামারির কারণে সদা-সর্বদা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত থাকে। এতে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া যায় না। হলের খাবারের মান নিম্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যহানিতে ভোগে। চবিতে শাটল ট্রেনের দুর্ভোগ যেন সারা জীবনের। এ ছাড়া দুর্নীতিতো আছেই। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যায়, ভালো নেই আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর বিশ্ববিদ্যালয় ভালো না থাকলে একটা দেশ কখনো ভালো থাকতে পারে না। এ জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি সবার সুনজর দেওয়া সময়ের দাবি। শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা, আবাসন সংকট নিরসন, খাবারের মান উন্নয়ন, যাতায়াতের সুব্যবস্থা, গ্রম্নপভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ, আদর্শ শিক্ষক নিয়োগ, বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ইত্যাদি বন্ধ, মাদক, গাঁজার বিরুদ্ধে সোচ্চার ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি সবার নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন সর্বদিকে ভালো হবে তখনই আমাদের দেশ ভালো হবে, আরও এগিয়ে যাবে।

আজিজ ওয়েসি

শিক্ষার্থী

সমাজতত্ত্ব বিভাগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে