রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

নতুন মহামারির আতঙ্ক

আমাদের উচিত আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা এবং সঠিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে যে কোনো সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা করা। সঠিক তথ্য প্রচার, গুজব মোকাবিলা এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমানোর একমাত্র পথ।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
নতুন মহামারির আতঙ্ক
নতুন মহামারির আতঙ্ক

বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মুখে সম্প্রতি একটি বিষয় ক্রমাগত শোনা যাচ্ছে- নতুন ভাইরাস এবং এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি। করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত কাটিয়ে ওঠার পর মানুষ স্বস্তি খুঁজে পেয়েছিল। তখনই এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস), রিও ভাইরাস এবং নিপাহ ভাইরাসের মতো নতুন এবং পুরোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবারও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মতো দেশে এই ভাইরাসগুলো ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় প্রভাব ফেলছে। এইচএমপিভি বা রিও ভাইরাসের মতো ভাইরাসগুলো আপাতদৃষ্টিতে পরিচিত এবং নিয়ন্ত্রিত মনে হতে পারে, কিন্তু ভাইরাসগুলো শিশু, বৃদ্ধ এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে ভাইরাসগুলোর সংক্রমণ পদ্ধতি এবং সংক্রমণকাল মৌসুমভিত্তিক হওয়ায় এগুলো দ্রম্নত জনসাধারণের মধ্যে বিস্তার লাভ করতে পারে। বাংলাদেশে প্রথমবার রিও ভাইরাস শনাক্ত হওয়া যেমন নতুন গবেষণার দরজা খুলে দিয়েছে, তেমনি নিপাহ ভাইরাসের পুনরায় প্রাণঘাতী রূপে ফিরে আসাও জনসচেতনতার গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে। চীনের সাম্প্রতিক অবস্থাও উলেস্নখযোগ্য। সেখানে হাসপাতালগুলোতে এইচএমপিভির কারণে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে- যা করোনাকালের স্মৃতিকে আবারো ফিরে নিয়ে এসেছে।

গবেষণা ও বিশেষজ্ঞরা যদিও বারবার বলে আসছেন এই ভাইরাসগুলোর কারণে বিশ্বব্যাপী তাৎক্ষণিক মহামারি হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবুও আতঙ্ক এবং অজ্ঞতার কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই, গুজব এবং অতি আতঙ্ক এড়ানোর পাশাপাশি সচেতনতা এবং বাস্তবিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রায় ছোট ছোট পরিবর্তন যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা এবং শ্বাসতন্ত্রের যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রম্নত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া এই ভাইরাসগুলোর প্রকোপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন আইইডিসিআর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগগুলোকে এই ভাইরাসগুলোর মোকাবিলায় দ্রম্নত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত হয়। এটি মূলত ফ্লুর মতো শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে। ভাইরাসটি নিউমোভিরিডি পরিবারের অন্তর্গত এবং এর গঠন ও কার্যক্ষমতা অনেকটা রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসের মতো। এইচএমপিভি সাধারণত শীত এবং বসন্তকালে সক্রিয় থাকে এবং সংক্রমণের হার এই সময়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। এটি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ড্রপলেট আকারে ছড়ায়। একই সঙ্গে ভাইরাসটি সংক্রমিত পৃষ্ঠতলের স্পর্শ বা আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি শারীরিক যোগাযোগের মাধ্যমেও সংক্রমিত হতে পারে। এই ভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছোট শিশু, বৃদ্ধ এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ওপর পড়ে। বিশেষ করে দুই বছরের কম বয়সি শিশু এবং যাদের আগে থেকে শ্বাসতন্ত্রের রোগ রয়েছে- তারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। চীনে সাম্প্রতিক সময়ে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, যেখানে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি এবং জ্বরের উপসর্গ নিয়ে প্রচুর মানুষ চিকিৎসা নিতে আসছেন।

কারও কারও ক্ষেত্রে এই উপসর্গগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মনে হলেও, গুরুতর সংক্রমণে নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস বা শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ক্রুপ কাশির মতো সমস্যাও হতে পারে। তবে, এই ভাইরাসে মৃতু্যর হার অত্যন্ত কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ৫-৭ দিনের মধ্যে নিজে থেকে সেরে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর। একই সঙ্গে, শ্বাসতন্ত্রের বড় কোনো জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রিও ভাইরাস শনাক্ত হওয়া জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পাঁচজনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। যদিও কারও অবস্থাই গুরুতর হয়নি এবং চিকিৎসা শেষে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তবু এই ভাইরাস ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। রিও ভাইরাস মূলত রিওভিরিডি পরিবারের অন্তর্গত এবং এটি শ্বাসতন্ত্র ও অন্ত্রের সমস্যার কারণ হয়। এটি ১৯৫০ সালে প্রথম শনাক্ত হয় এবং সাধারণত শীতকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। রিও ভাইরাস ছড়ায় প্রধানত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে আসলে। এটি বায়ুবাহিত জীবাণু হিসেবে পরিবেশে অনেক দিন সক্রিয় থাকতে পারে। ফলে, জনবহুল স্থানে এই ভাইরাস দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়তে পারে। একই সঙ্গে, দূষিত পানি বা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেও রিও ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। আক্রান্ত হলে সাধারণত শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়, কেননা, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম। রিও ভাইরাস মোকাবিলায় এখনো কোনো টিকা বা নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তবে রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিতে হবে। নিয়মিত হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা এবং সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।

নিপাহ ভাইরাস (নিপাহ হেনিপা ভাইরাস) বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এক মারাত্মক জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির নাম। এটি প্রথমবারের মতো ১৯৯৮-৯৯ সালে মালয়েশিয়ার নিপাহ এলাকায় শনাক্ত হয়- যা থেকে এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ধরা পড়ে এবং তখন থেকেই এটি প্রায় প্রতি বছরই কোনো না কোনো অঞ্চলে প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নিপাহ ভাইরাস প্রধানত বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ায়, বিশেষ করে ভারতীয় ফল খেকো বাদুড়ের মাধ্যমে। এ বাদুড় খেজুরের কাঁচা রস খেলে সেই রসে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে- যা পরে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে পাঁচজন আক্রান্ত হন এবং দুঃখজনকভাবে সবাই মারা যান। এই ভাইরাসের সংক্রমণের মৃতু্যহার অত্যন্ত বেশি- যা ৭০ শতাংশেরও বেশি। নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গ শুরু হয় জ্বর, মাথাব্যথা এবং বমির মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই এটি শ্বাসতন্ত্রের গুরুতর সমস্যা বা স্নায়বিক জটিলতায় রূপ নিতে পারে। এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহ নিপাহ ভাইরাসের সবচেয়ে মারাত্মক পরিণতি- যা আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রম্নত মৃতু্য ঘটাতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে, নিপাহ সংক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা স্নায়বিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। বাংলাদেশে বাদুড়জনিত সংক্রমণ বন্ধ করতে বিশেষজ্ঞরা বারবার খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তবু অনেক এলাকায় এখনো কাঁচা রস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, কাঁচা রসের পরিবর্তে গুড় বা রান্না করা রস নিরাপদ। উচ্চ তাপে ভাইরাসটি ধ্বংস হয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি টিকা নিয়ে গবেষণা করছে, যার দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা বাংলাদেশে হওয়ার কথা। তবে কার্যকর টিকা সহজলভ্য হতে ২০২৭-২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো সচেতনতা। সাধারণ মানুষকে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে জানাতে হবে। পাশাপাশি, সন্দেহভাজন সংক্রমণের ক্ষেত্রে দ্রম্নত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা রাখা অপরিহার্য। গণমাধ্যম ও জনস্বাস্থ্য প্রচারণার মাধ্যমে এই ভাইরাসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

সাম্প্রতিক সময়ে এইচএমপিভি, রিও ভাইরাস এবং নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনমনে নতুন মহামারি নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারির অভিজ্ঞতা মানুষের মনে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করেছে। ফলে, নতুন ভাইরাসের খবর শুনলেই উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য মহামারি নিয়ে সতর্ক করেছেন, যাকে তারা 'ডিজিজ এক্স' নামে অভিহিত করেছেন। যদিও এই ভবিষ্যদ্বাণী সতর্কতা সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে অনেক সময় গুজব এবং অপতথ্য জনমনে অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এইচএমপিভি নিয়ে সাম্প্রতিক গুজবের মধ্যে অন্যতম হলো এটি কোভিড-১৯-এর মতো আরও একটি মহামারি সৃষ্টি করবে। বাস্তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এইচএমপিভি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটি প্রায় দুই দশক ধরে মানুষের মধ্যে বিদ্যমান এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি নিজে থেকে সেরে যায়। যদিও এই ভাইরাস শিশু এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, তবে এটি বৈশ্বিক মহামারির আকার নেওয়ার মতো নয়। একইভাবে, রিও ভাইরাস এবং নিপাহ ভাইরাসও গুরুতর, তবে এগুলোর বিরুদ্ধে সঠিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গুজব এবং আতঙ্কের অনেক কারণ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি বা ভিডিও, যেমন, চীনের হাসপাতালে মানুষের ভিড়, কিংবা ভারতের হাসপাতালে শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, অনেক সময় প্রকৃত পরিস্থিতির চেয়ে ভয়াবহ বলে মনে হয়। মানুষের মধ্যে দ্রম্নত তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে এই গুজব আরও বাড়ে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম এবং বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যপ্রমাণের মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো বারবার বলে আসছে যে, নতুন ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার চেয়ে সচেতন থাকা জরুরি। প্রতিটি ভাইরাসের সংক্রমণ এবং প্রতিরোধের ধরন আলাদা। তাই সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

আমাদের উচিত আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা এবং সঠিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে যে কোনো সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা করা। সঠিক তথ্য প্রচার, গুজব মোকাবিলা এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমানোর একমাত্র পথ।

আবু হেনা মোস্তফা কামাল : চিকিৎসক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে