রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

কমছে শিশুর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ জরুরি

  ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কমছে শিশুর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ জরুরি

কোনোভাবেই বায়ুদূষণ রোধ হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত খবরে বায়ুদূষণ সংক্রান্ত যেসব তথ্য উঠে আসে, তা উদ্বেগজনক। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, দিন দিন বেড়েই চলেছে দেশের বায়ুদূষণের পরিমাণ। আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, একদিকে বায়ুদূষণের সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে দূষণজনিত রোগব্যাধি। অন্যদিকে, দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার কারণে সব বয়সের মানুষের বহুবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে, বায়ুদূষণে শিশুর স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। এক্ষেত্রে আমলে নেওয়া দরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পরিবেশগত কারণে প্রতি বছর ১ কোটি ৩ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। আর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ সংক্রান্ত তথ্য নানা সময়ে সামনে এসেছে- যা উদ্বেজনক। ফলে, যখন জানা যাচ্ছে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার কারণে সব বয়সের মানুষের বহুবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে; শিশুর স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে, তখন সার্বিক পরিস্থিতি এড়ানোর সুযোগ নেই। দেশের সংশ্লিষ্টদের বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস বেড়ে যাওয়ায় বায়ুদূষণ বাড়ছে। বায়ুদূষণের ফলে বাতাসে পস্নাস্টিক কণা, সিসার মতো ক্ষতিকর উপাদানও বাড়ছে। এসব উপাদান মানবদেহের ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। মানুষ নিঃশ্বাসের সঙ্গে এই বিষাক্ত উপাদানগুলো গ্রহণ করছে এবং শ্বাসতন্ত্রের নানান জটিল অসুখে ভুগছে। ফলে, এই বিষয়গুলো কোনোভাবেই এড়ানোর সুযোগ নেই।

যখন এটা জানা যাচ্ছে যে, বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে শিশুরা। তখন এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিতে হবে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সঙ্গত কারণেই শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আর শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকার কারণ দূষণের ধাক্কা সামলানোর জন্য শিশুদের ফুসফুস যথেষ্ট পরিপক্ব নয়। শিশুদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে ঢাকার বাতাসে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলো। এর ফলে, শিশুদের সিওপিডি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা বাড়ছে। ফলে, সার্বিক বাস্তবতা আমলে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার বিকল্প নেই।

প্রসঙ্গত আমরা এটাও বলতে চাই, বায়ুদূষণ কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটা আমলে নেওয়ার পাশাপাশি বিবেচনায় রাখা দরকার, এর আগে এমনও জানা গিয়েছিল, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বছরে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃতু্য হয়। বায়ুদূষণে প্রাণহানি শুধু নয়, জনসাধারণের জীবনে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এটাও জানা যায় যে, দূষণ রোধে সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও কার্যকর সমাধান, যেমন ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ, পাওয়ার স্টেশন প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। ফলে, এই বিষয়গুলো আমলে নিতে হবে। স্মর্তব্য, রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ সক্রান্ত উদ্বেগ বিভিন্ন সময়ে সামনে এসেছে। এর আগে এমনটিও আলোচনায় এসেছিল যে, বায়ুদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ইটভাটাগুলো। অন্যদিকে, বায়ুদূষণের কারণ হিসেবে নির্মাণকাজ, যানবাহন, সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলার কারণে, বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ পস্নাস্টিক পোড়ানোসহ বিভিন্ন কারণ উঠে এসেছে নানা সময়ে।

আমরা উলেস্নখ করতে চাই, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণের ফলে- শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আর যখন সম্প্রতি এটা জানা যাচ্ছে যে, বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে শিশুরা, অন্যদিকে, দিন দিন বেড়েই চলেছে দেশের বায়ুদূষণের পরিমাণ। বায়ুদূষণের সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে দূষণজনিত রোগব্যাধি; তখন সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর আগে জানা গিয়েছিল বায়ুদূষণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবেশগত স্বাস্থ্য হুমকি এটাও এড়ানো যাবে না। সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে বায়ুদূষণ রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক এমনটি কাম্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে