রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

শিল্পকলায় গবেষণার কাজ বাড়াতে চাই

জ্যোতিকা জ্যোতি- সেই ২০০৫ সালে 'আয়না'য় প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে প্রতিফলিত হন তিনি। এরপর তার দেড় যুগের ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন গুণী কয়েকজন পরিচালকদের সঙ্গে। সেখানে তানভীর মোকাম্মেলের 'রাবেয়া' ও 'জীবনঢুলী' অন্যতম। এ ছাড়া বেলাল আহমেদের 'নন্দিত নরকে' এবং মোরশেদুল ইসলামের 'অনিল বাগচীর একদিন' উলেস্নখযোগ্য। সর্বশেষ তাকে নুরুল আলম আতিকের 'লাল মোরগের ঝুঁটি' সিনেমায় দিপালী চরিত্রে দেখা গেছে। অভিনয় করেছেন কলকাতার সিনেমাতেও। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এ নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হওয়ায় অভিনন্দন!

ধন্যবাদ। প্রার্থনা করবেন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারি। এমন একটি দায়িত্ব পাওয়া যেমন আনন্দের আবার সেই দায়িত্বটি যদি সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে পারি তখন তো সেটা আরও বেশিই আনন্দের হবে। আমি আমার সব ধরনের দায়িত্বের ব্যাপারেই শতভাগ কনসার্ন থাকি।

এই গুরুদায়িত্ব নিয়ে আপনারও নিশ্চয় নিজস্ব ভাবনা আছে?

এরই মধ্যে আমি তো নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি। অফিসিয়াল ওয়ার্কও শুরু করেছি। এখান থেকে এর আগে কী ধরনের কাজ হয়েছে সেগুলো দেখতে গিয়ে আসলে আমি এখন নিজেই এক ধরনের গবেষণার মধ্যে আছি এই ডিপার্টমেন্ট নিয়ে। আমার যে নিজস্ব একটা ভাবনা আছে সেটা হচ্ছে এখানে কী করে গবেষণার কাজ বাড়ানো যায়। কারণ আমাদের দেশে গবেষণার কাজ তো কম হয় তাই শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয় ঢাকার বাইরেও দেশের সব জায়গা থেকেও এই কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা রাখি। সে লক্ষ্যে আমি নতুন কিছু প্রস্তাবনা আনতে চাই যেগুলো আমি ডিজি বরাবরে দেবো। তো তারপরে উনার মতামত এবং সম্মতি নিয়েই আমার প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে কাজ করব।

রমজানে শিল্পকলায় নাটক প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় না- এ নিয়ে নতুন কোনো চিন্তা আছে?

কই না তো! আমাদের এখানে তো সব ধরনের অনুষ্ঠানই হচ্ছে তো! বন্ধ নেই তো। এই তো কয়দিন আগে বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবসেও অনুষ্ঠান হলো। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছেই। আর যারা বাইরে থেকে মঞ্চ নাটক করছে তারাও তো তাদের কাজ করছে। এখন যারা বাইরে থেকে শো করছে তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে তো আপনি সঠিক তথ্যটি পাবেন না। আসলে আমার ডিপার্টমেন্ট তো আলাদা। সব আমার জানাও নেই। সে জন্য আমাদের ডিজির সঙ্গে কন্টাক্ট করে এ বিষয়ে কথা বলবেন। উনাকে ফোন দিয়ে না পেলে একটা মেসেজ দিয়ে রাখবেন। উনি কিন্তু সবার সঙ্গেই কথা বলতে চান।

নতুন দায়িত্ব ও ক্যারিয়ার- কীভাবে সমন্বয় করবেন?

আমি তো প্রতিদিনই শুটিং করছি না। আমার তো সব কাজই চলছে, সবই চলবে। সামনের মাসে একটি সিনেমার শুটিং হবে। আমার অফিস তো ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা। সে জায়গায় আমি রাত ৮টা-৯টা পর্যন্ত কাজ করছি। সে ক্ষেত্রে এখানে তো আমি বাড়তি সময়ও দিচ্ছি। এটা আমার মতো শিডিউল ব্যালান্স করে করতে পারব। আর যদি দেখি অফিসিয়াল কাজের জন্য শিডিউল মিলাতে পারছি না তখন সেটা বাদ দিবো।

তার মানে এখন থেকে অফিসিয়াল দায়িত্বই আপনার প্রথম অগ্রাধিকার?

না, না, না- আমি তা বলছি না। আমি আমার সব কাজের ব্যাপারেই সমান দায়িত্ব সচেতন। আমি যখনই যে কাজটি করি তখন সে কাজটিই অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে করি। আলাদাভাবে কোনোটাকে প্রাইয়রিটি দিয়ে করি না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে