শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার কোয়ারেন্টিন সেন্টারেই বসছে আরটি-পিসিআর ল্যাব

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

এবার বিদেশফেরত যাত্রীদের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টারেই আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি বসানো হচ্ছে। সেখান থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হবে। এই ফলাফলের ভিত্তিতেই বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি নাকি স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে- সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে ২

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ঢোকা যাত্রীদের ক্ষেত্রেই এ নিয়ম চালু করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। খুব শিগগিরই প্রক্রিয়াটি চালু হতে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে দেশের সবগুলো বিমান, স্থল এবং সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা দেশি-বিদেশি যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে 'করোনা নেগেটিভ' সার্টিফিকেট আনা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। যা বাস্তবায়নে বন্দরগুলোতে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া দেশে ঢুকলে দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ফলে বিদেশফেরত যাত্রীদের অধিকাংশই ঝামেলা এড়াতে সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়েই দেশে ফিরছেন।

শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, বর্তমানে ৯০ শতাংশ বিদেশফেরত যাত্রী নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই দেশে ফিরছেন। বাকি ১০ শতাংশ এখনো নেগেটিভ সার্টিফিকেট না নিয়েই দেশে ফেরায় রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি ও আশকোনার হজ ক্যাম্পে পরিচালিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে প্রতিদিনই লোকের সংখ্যা বাড়ছে।

এমতাবস্থায় উত্তরার দিয়াবাড়িতে আগে যেখানে তিনটি ভবনে বিদেশফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হতো, বর্তমানে আরও একটি নতুন ভবন যুক্ত করতে হয়েছে। এ কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ১ হাজার ৯০০ মানুষকে রাখা যাবে। অপরদিকে, বিমানবন্দরের অদূরে ২ হাজার ৩৫০ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৪৫০ জনকে।

শাহরিয়ার সাজ্জাদ আরও জানান, নেগেটিভ সার্টিফিকেট না আনলেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এমন ঘোষণার পরও সংখ্যায় কম হলেও অনেকেই সার্টিফিকেট ছাড়াই আসছেন। ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন লোককে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হচ্ছে। দ্রম্নত নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসা কিংবা বাড়ি পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে