শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোভ্যাক্স থেকে 'সহজে সংরক্ষণযোগ্য' টিকা চায় বাংলাদেশ

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ জুন ২০২১, ০০:০০
এবিএম খুরশীদ আলম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকার আন্তর্জাতিক পস্ন্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে স্থানীয় আবহাওয়ার 'উপযোগী' সহজে সংরক্ষণ ও পরিবহণযোগ্য টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, 'কোভ্যাক্স থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার পর বাংলাদেশ বলেছে, কোভ্যাক্স থেকে দেওয়া টিকা বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী না হলে ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে যাবে।'

এদিকে, কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা গত ১ জুন বাংলাদেশ

\হহাতে পেয়েছে।

কিন্তু ফাইজার-বায়োএনটেকের ওই টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে এ টিকা সংরক্ষণ করতে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। আর পরিবহণের জন্য থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান লাগে।

সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হলে এ টিকা ৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহারের উপযোগী থাকে। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা দুই ঘণ্টা টেকে।

প্রসঙ্গত, সরকার দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে পাঁচটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে তার মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন একটি।

অন্যগুলো হলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার বিবিআইবিপি-সিওরভি এবং চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি 'করোনা ভ্যাক'।

ফাইজার-বায়োএনটেক ছাড়া বাকি চার কোম্পানির টিকাই সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়, যা বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে