আজকের যায়যায়দিন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দফা বিধি-নিষিধে বাড়ানো হবে কি হবে না তা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে আজ। বিধিনিষেধ বাড়ানো হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে।

অনলাইনে অনুষ্ঠেয় এ সভায় ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

হাসিনা-থাভিসিন বৈঠক / বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

ঈদের সময় আটদিন বিরতি দিয়ে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। তা শেষ হবে ৫ আগস্ট মধ্যরাতে। এরই মধ্যে গত ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কঠোর বিধি-নিষেধ বাড়ানোর আভাস পাওয়া গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র মতে, নতুন করে বিধি-নিষেধ দেওয়া হবে সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। সীমিত পরিসরে চালু হতে পারে গণপরিবহণ। রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা চালু রাখা হবে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। গত ৩০ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, আমরা আরও ১০ দিন বিধি-নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ বিষয়ে বলেছিলেন, ৩ বা ৪ আগস্ট এ বিষয়টি পরিষ্কার করে দেব।