শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

তালিকা থেকে বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে অন্তর্ভুক্তিতে যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মু. মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে করা রিটের পর জারিকৃত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম বলেন, রায়ে হাইকোর্ট গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১০ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত জামুকার বিধান/পরিপত্রটি

\হবাতিল ঘোষণা করেছেন।

২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ওই পরিপত্রটি জারি করে। ওই পরিপত্রে বলা হয় যে প্রত্যেক উপজেলায় গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির জন্য বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ভাতা-ভোগী সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

অথচ ২০১৭ সালে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি 'ক' তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং ওই তালিকাতে রিট আবেদনকারীরা তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু জামুকার ওই সিদ্ধান্তের ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়ে যান। সে কারণেই ১০ শতাংশ কোটা ভুক্তিসংক্রান্ত ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাভার সদর, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার 'ক' তালিকাভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট রুল জারি করেন আদালত।

রুলে হাইকোর্ট জামুকার ওই পরিপত্রটি অর্থাৎ বিধানটি কেন বাতিল করা হবে না মর্মে জানতে চেয়েছিলেন। এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল জামুকা ও সংশ্লিষ্টদের।

ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম জানান, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা শুধু বেআইনিই নয়- অসাংবিধানিকও। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও তালিকার বাইরে রাখা যেমন বেআইনি, একইভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন একজনকেও তালিকাভুক্ত করা বেআইনি। কিন্তু এধরনের পরিপত্র জারি করার মাধ্যমে জামুকা যাচাই-বাছাই কমিটিকে একটি ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে। তারা তাদের সুবিধা ও সন্তুষ্টি অনুসারে শুধু ১০ শতাংশ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু এই সংখ্যা এলাকাভেদে অনেক বেশি আবার কোথাও কমও হতে পারে। তাই এ ধরনের সংখ্যা নির্ধারণ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ও সংবিধান সমর্থন করে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে