শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের মধ্যে ৩ মাস, ৬ মাস, ৯ মাস ও ১২ মাস পার হওয়ার পরও কারও কারও শরীরে যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ, ৭০ শতাংশ, ৬৮ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশের দেহে উপসর্গ থেকে গেছে।
বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআরের পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জনানো হয়। এসংক্রান্ত প্রতিবেদন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছে।
এতে বলা হয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তদের করোনা পরবর্তী উপসর্গের আশঙ্কা আরও দুই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত বেশি থাকে। এসব রোগীর কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার
\হআশঙ্কা কমাতে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক নিয়মিত ওষুধ সেবন করা জরুরি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক রোগী সংক্রমণ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উপসর্গে ভুগে থাকেন, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক করোনা পরবর্তী উপসর্গ (পোস্ট কোভিড কন্ডিশন) নামে অভিহিত করেছে। আইইডিসিআর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায় যে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের করোনা পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের তুলনায় প্রায় ৯ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে নিয়মিত ওষুধ সেবনকারী করোনা পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন না, তাদের তুলনায় প্রায় ৭ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলমান গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতে করোনা পরবর্তী উপসর্গের ব্যাপারে আরও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে। কোভিড-১৯ বিশ্বমারি প্রতিরোধে আইইডিসিআর সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি পূর্ণ ডোজ করোনা টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস বিশ্ব মহামারির শুরু থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আইইডিসিআর বিভিন্ন রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, মহামারি তদন্ত ও গবেষণা পরিচালনা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) সহযোগিতায় আইইডিসিআর কর্তৃক পরিচালিত ফিল্ড ইপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম, বাংলাদেশের (এফইটিপি,বি) প্রশিক্ষণার্থীরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গ পরবর্তী জটিলতাগুলো নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছেন।
Google News ফিড অনসরণ করুন
