শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত

'বিদু্যৎ-জ্বালানি খাত ধ্বংসের পাঁয়তারা'
ম যাযাদি ডেস্ক
  ১১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের ডাকে দেশব্যাপী মানববন্ধন-সমাবেশ-বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। এসব প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে নেতারা বলছেন, বিদু্যৎ-জ্বালানি খাত ধ্বংস করছে পর্দার আড়ালের কিছু ব্যক্তি। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণ-সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট। জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী আখ্যা দিয়ে নেতারা বলেছেন, যা ইতোমধ্যে অর্থনীতি ও জনজীবনে মারাত্মক নেতিবাচক ও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে জ্বালানি তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও কর মওকুফের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানি খাতে অব্যাহত ভর্তুকি কমানো এবং বিশ্ববাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে।

জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জিপিওর সামনে মানববন্ধন-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত উলেস্নখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান ক্ষমতাসীন জোটের

নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। যা ইতোমধ্যে অর্থনীতি ও জনজীবনে মারাত্মক নেতিবাচক ও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। পণ্য পরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি, কৃষিতে সেচ ব্যয় বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের দাম আরও বৃদ্ধিসহ এই সিদ্ধান্ত জনজীবনে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। আত্মঘাতী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে আর্থিক খাতসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতে সমন্বয় করা ও দুর্নীতি-লুটপাট-অপচয় বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া, বৈশ্বিক সংকটে অর্থনীতি সচল রাখতে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ধরে রাখতে, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ছয় মাসের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাসদ সভাপতি।

রাজধানীর জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোলস্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, মো. মোহসীন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা।

মানববন্ধন-সমাবেশ ও বিক্ষোভে আরও অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহিবুর রহমান মিহির, ঢাকা মহানগর পূর্ব জাসদের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, জাতীয় কৃষক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ফসি, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।

'গরিব ও মধ্যবিত্ত জনতা' নামের একটি সংগঠন জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং জ্বালানি তেলের ওপর বিদ্যমান ৩৭ শতাংশ কর মওকুফের দাবি জানিয়ে বুধবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল- বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দেব কিসে?, জ্বালানি তেলে ৩৭ শতাংশ খাজনা মওকুফ করো গরিব মধ্যবিত্তদের বাঁচতে দাও। এ সময় তারা থালা নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন।

'গরিব ও মধ্যবিত্ত জনতা' সংগঠনের আহ্বায়ক মুহম্মদ ইমতিয়াজ শুল্ক ও ভ্যাট মওকুফ করে জ্বালানি তেলের মূল্য ডিজেল প্রতিলিটার ৮৩ টাকা, পেট্রোল ৯৪ টাকা এবং অকটেন ৯৪৮ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, করোনা লকডাউন, বন্যা ও ডলার সংকটে দেশের অর্থনীতি ভালো নেই। সবকিছুর দাম বাড়তি। ঋণের চাপে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। মুদ্রাস্ফীতিতে দেশের প্রতিটি জনগণ দিশেহারা। এর মধ্যে হঠাৎ করে 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা'র মতো অতি উচ্চহারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। জ্বালানি তেলের এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যাপক হারে বেড়েছে পরিবহণ ভাড়া। আর যেহেতু পরিবহণের সঙ্গে দৈনন্দিন সব মৌলিক খাত জড়িত, তাই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সব জীবন ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের ৯৯ শতাংশ জনগণের পক্ষে সামাল দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। এভাবে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মৃতু্য ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। জনগণের জন্যই রাষ্ট্র, জনগণের জন্যই সরকার, সেই জনগণকে শোষণ করে রাষ্ট্র তার লাভজনক ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারে না।

তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বলা হলেও এতে আগাম ভ্যাটসহ ৩৭ শতাংশ শুল্ক ও ভ্যাট রয়েছে (শুল্ক ১৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ও কর ৭ শতাংশ)। আজ যদি কোনো সাধারণ ব্যবসায়ী ১০০ টাকায় ৩৭ টাকা লাভ করত, তবে সেটাকে অতি উচ্চ লাভ হিসেবে দেখা হতো। ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্যবসায়ীর ব্যবসা সিলগালা করত, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করত। একজন সাধারণ ব্যবসায়ীর ১০০ টাকায় ৩৭ টাকা লভ্যাংশকে যদি অনৈতিক হিসেবে দেখা হয়, তবে রাষ্ট্র কীভাবে ৩৭ শতাংশ লাভে ব্যবসা করে? এ ব্যবসা চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ সুনিশ্চিত, যেখানে কোটি কোটি দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের মৃতু্য অবধারিত। তাই দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্তকে মৃতু্যর হাত থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় হলো অবিলম্বে জ্বালানি তেলের শুল্ক ও ভ্যাট মওকুফ করা।

সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি বিদু্যৎ ও জ্বালানি খাতকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে, এদের মধ্যে একজন হলেন- জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি কুইক রেন্টালের তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) সভাপতি শেখ ছালাউদ্দিন ছালু।

এনডিএফ সভাপতি বলেন, ২০১০ সালের পরিপ্রেক্ষিতে কুইক রেন্টাল দরকার ছিল। সেই চুক্তি ছিল ৩ বছরের জন্য। কিন্তু সেই চুক্তি এখনো বর্তমানে আছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার নতুন নতুন কুইক রেন্টালের অনুমতি দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা সরকার প্রদান করেছে। এই ৭৫ হাজার কোটি টাকা দশটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি কোম্পানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও ওই কোম্পানির মালিক সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।

ছালু আরও বলেন, জ্বালানি তেল এমন একটি পণ্য, যার প্রভাব প্রতিটি পণ্যের ওপর পড়বে। পরিবহণের ভাড়া নৈরাজ্যের চাপে মধ্যবিত্ত মানুষগুলো আজ অসহায়। আওয়ামী-লীগের বড় বড় নেতারা ও শিল্পপতিরা এবং সরকারি আমলারা ডলার কিনে জমা রাখছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডলারের সংকট। ৯৫ টাকার ডলার এখন ১১৫ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না।

দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি করে তিনি বলেন, সরকার এত দিন বলেছে ডলারের সংকট নেই। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। কিন্তু এখন আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। আইএমএফের লোন পেতে ছুটাছুটি করছে। তাই বিদু্যৎ ও জ্বালানি খাতে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের দ্রম্নত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

এনপিপি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্রনেতা কাজী ছাব্বীরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এনপিপির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই মন্ডল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ও এনডিএফের সদস্য সচিব এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদ (বাবলু), ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই সরকার, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান দেওয়ান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, এনপিপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও এর নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএফ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

এদিকে, বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে 'নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি : জনজীবনে চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক নগর সংলাপে স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী অ্যাডজাস্টমেন্টে আসতে হয়। সারা পৃথিবী পরিস্থিতি অনুযায়ী অ্যাডজাস্টমেন্টে আসে। আমাদের না আসার কোনো কারণ নাই।

তিনি বলেন, 'সমস্যা একা আমার হলে সেটা আমাকেই ঠিক করতে হবে। কিন্তু সমস্যা যখন বৈশ্বিক সে ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়েই কাজ করা উচিত।

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত সংলাপে মন্ত্রী আরও বলেন, আপনি (সমালোচক) বলেন যে, এটাতে ভর্তুকি দিতে হবে, ওটাতে ভর্তুকি দিতে হবে। ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিকল্পনা নিতে হবে। কথায় কথায় ভর্তুকি দিয়ে দিলে অন্য খাতগুলো ইমব্যালেন্স হয়ে যাবে। কোথায় ভর্তুকি দিতে হবে সরকার এনালাইস করে দেয়।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কখনো লাভ করে নাই উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, (আলোচনায়) বিপিসির কথা এসেছে, তাদের কাছে ৫০ হাজার কোটি টাকা আছে। আমি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম, এখনকার অবস্থার কথা বলতে পারব না, বাট বিপিসি কখনো লাভ করে নাই। তাদের ভর্তুকি দেওয়ার জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা লক করে রাখা হয়েছে। সরকার এই টাকা না দিলে তাদের দেনা। এখন তারা ভর্তুকি দিচ্ছে না, কারণ বাজেটে কোনো টাকা রাখা হয় নাই। তারা লোকসান দিচ্ছে।

তেল কেনার জন্য টাকা নেই উলেস্নখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কারেন্ট একাউন্টে হয়তো সমস্যা থাকে। কারেন্ট একাউন্টে সারা পৃথিবীর সমস্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারেন্ট একাউন্টে ডেবিট অ্যান্ড ক্রেডিট হিসাব করে দেখেন, তাদেরও সেখানে গোলমাল আছে।

মন্ত্রী জানান, প্রয়োজনেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে টাকা নেওয়া হয়। আজকে রিজার্ভ নিয়ে কথা আসছে... ৩৪ বিলিয়ন ডলার। কখনোই তো আমাদের এর বেশি ছিল না। রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন, না ৪২ বিলিয়ন, বাট কারেন্ট একাউন্টের অ্যাডজাস্টমেন্টের জন্য এখান থেকে টাকা নেই। তাই এইটা নিয়ে এত হিউ অ্যান্ড ক্রাই কেন বইতে হবে।

মেগা প্রজেক্ট প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, যে প্রজেক্ট আমাকে দুঃসময়ে দুর্দিনে সার্ভিস দেবে, একটু কষ্ট করে সেই কাজ যদি না করি; তাহলে তো সারাজীবনই দরিদ্র থাকব।

কেউ কেউ 'দেশে নাই নাই' বলে জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, এই পরিস্থিতিও আমরা একত্রিত হয়ে মোকাবিলা করতে পারব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে