সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা

ম আমানুর রহমান
  ২১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
আপডেট  : ২১ আগস্ট ২০২২, ১০:৩৯

দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে একটি অভিন্ন নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এই খসড়ায় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অভিন্ন সম্মানী ও ভাতার বিষয়টিরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নীতিমালায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে। এ নীতিমালাটি 'অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল' নামে অভিহিত করা হয়েছে। ৬৯ পৃষ্ঠার এই নীতিমালাটি সম্প্রতি (গত ৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে। ইউজিসি সূত্রে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়ের খাতে একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একেক ধরনের নীতিমালা এবং পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছিল। আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে অভিন্ন কোনো নির্দেশনা বা নীতিমালার অভাবে দীর্ঘদিন থেকে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা চলে আসছিল। অডিট আপত্তিও সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছিল না। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের জুনে ইউজিসির ৪১তম মাসিক সভায় এরূপ একটি নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ডক্টর আবু তাহেরকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অন্যদের মধ্যে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ আলমগীরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকদের (অর্থ) সদস্য করা হয়েছিল। কমিটি চার দফায় বৈঠক করে নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে। নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনার সাধারণ নীতিমালা হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করা হবে। জাতীয় পে-স্কেলের বাইরে সব শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সব ধরনের ভাতা এবং সম্মানী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য হবে এক ও অভিন্ন। এতদিন এ খাতে একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাতা ও সম্মানীর সঙ্গে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সমতা বা সামঞ্জস্যতা ছিল না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যয়ের সমতা আনতে শিক্ষকদের বাড়তি কাজের ভাতা এবং সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালার বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডক্টর মো. আবু তাহের বলেন, আর্থিক অভিন্ন নীতিমালাটি অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম রোধ, অর্থের অপচয় বন্ধ, বরাদ্দ অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার, আর্থিক শৃঙ্খলা ও অর্থ ব্যয়ের জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনয়নে অনেকাংশে সহায়ক হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে