শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের অর্থনীতি এখন তিন চ্যালেঞ্জের মুখে

গভর্নর
যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিয়ে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তা আগামী দু-এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেন, অর্থনীতি এখন তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার বৃদ্ধি ও চীনের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি- এই তিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমাদের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে ঋণপত্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এমন কথা বলেন তিনি। ডিসিসিআই সভাপতি মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে সাক্ষাৎকালে আরও ছিলেন সংগঠনের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পর্ষদের অন্য সদস্য।

এ সময় আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চেয়ে ডিসিসিআই সভাপতি মো. সামীর সাত্তার বলেন, ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি খেলাপি

ঋণ নিয়ন্ত্রণে সুশাসন নিশ্চিত এবং অভ্যাসগত খেলাপিদের কাছ থেকে দ্রম্নত ঋণ পুনরুদ্ধারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য ব্যাংকিং আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার।

গভর্নর বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। রমজানের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন নূ্যনতম করাসহ বেশকিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ চলছে।

তিনি ডিসিসিআই নেতাদের জানান, প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বাড়াতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নীতিগত পরিবর্তন এনেছে। প্রবাসী আয় পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বিধান শিথিল করা, স্থানীয় ব্যাংক কর্তৃক মাশুল মওকুফ ও রেমিট্যান্স আহরণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে (এমএফএস) সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আরও বাড়বে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে