সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

জনগণ ভোট দিলেই নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক

নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চক্র বন্ধ করতে হবে ব্রিকসে সদস্য চাইলে পাব না, সেই অবস্থাটি নেই আত্মবিশ্বাস থাকলে বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না ডক্টর ইউনূস পেনশন তহবিলের টাকায় ভোট! এমন দৈন্যতায় আ'লীগ পড়েনি
যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার গণভবনে ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন -ফোকাস বাংলা

বিরোধী দলগুলো না এলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার কোনো কারণ নেই উলেস্নখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'অংশগ্রহণটা জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ ভোট দেবে, সেই ভোটে যারা নির্বাচিত হবে, জয়ী হবে, তারাই সরকারে আসবে।'

দক্ষিণ আফ্রিকায় পঞ্চদশ ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা জানাতে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক জানতে চান- আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার কী উদ্যোগ নেবে?

উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন অংশগ্রহণ বলতে কাদের অংশগ্রহণ? ভোট চোরদের? ভোট ডাকাতদের? দুর্নীতিবাজ, মানিলন্ডারিং, খুনি, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, জাতির পিতার হত্যাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, তাদের অংশগ্রহণ? এটা কি জনগণ চায়? তারা (বিএনপি) অংশগ্রহণ করলেই বৈধ হবে, অন্য কেউ করলে হবে না- এটা তো হতে পারে না। তাদের প্রতি মানুষের ঘৃণা, এটা মাথায় রাখতে হবে।'

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের সময়ে সব নির্বাচনেই 'জনগণ অংশগ্রহণ করছে' মন্তব্য করে দলের সভাপতি বলেন, 'তা না হলে ২০০৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি তো ৩০টা আসন পেয়েছিল। তারপর থেকে আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। তারা বাণিজ্য করে নমিনেশন বেচে। হয়তো তারা আসবে নমিনেশন বেচবে, বাণিজ্য করবে। কিছু টাকা নয়াপল্টন

অফিস পাবে, কিছু টাকা গুলশান অফিস পাবে, আর মোটা অংক যাবে লন্ডনে। এই তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে! তারপর নিজেরাই মারামারি করবে, পরে নির্বাচন উইথড্রো করবে। সব নির্বাচনেই জনগণ অংশগ্রহণ করেছে।'

সিঙ্গাপুরে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নেতাদের কথিত বৈঠকের বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যে কয়টা নির্বাচন এই পর্যন্ত হয়ে গেল, সেটাতে কি জনগণ নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণ করতে পারেনি? হ্যাঁ, কেউ কেউ চেষ্টা করেছে, সেখানে নিজেরাই একটা গোলমাল সৃষ্টি করে সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, কিন্তু সেটাতে সফল হয়নি। যেহেতু জনগণ ভোটে গিয়েছে।'

তিনি বলেন, 'এখন দেশে জায়গা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে কার শিং গজালো, সেটাতো আমি খোঁজ নিতে পারব না। বলে যে সিঙ্গাপুর, আমি বললাম যে, কোথায় যেয়ে কার শিং গজালো, সেটা আমি দেখব কোত্থেকে বলেন? তারা কোথাও শিং ধার করতে গেছে নাকি, যে গুঁতাটুতা মারবে, বাংলাদেশের জনগণকে ইলেকশন করতে দেবে না।'

প্রশ্ন করা ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনি বলছেন, যে গোয়েন্দা সংস্থার খোঁজ নিতে হবে। এটা খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব কে গেল, কে কোথায় গেল, কী করল? ওটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। শিং নাই তবু সিংহ। ওই নিয়ে চিন্তার কী আছে'।

নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চক্র বন্ধ করতে হবে

নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বের দক্ষিণের দেশগুলো কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশ তুলে ধরেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দক্ষিণের দেশসমূহের উপর আরোপিত সিদ্ধান্ত, বিভাজনের নীতিকে না বলার এখনই সময়। সর্বজনীন নিয়ম ও মূল্যবোধকে অস্ত্রে পরিণত করার প্রচেষ্টাকে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আমাদের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চক্র বন্ধ করতে হবে।'

সব ধরনের হুমকি, উসকানি ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলার উপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'দক্ষিণের দেশসমূহের উপর আরোপিত কৃত্রিম সিদ্ধান্তের কারণে আর ক্ষতিগ্রস্ত হতে রাজি নই। সর্বজনীন নিয়মের নামে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া অসম নীতিকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমি দক্ষিণের দেশসমূহকে আহ্বান জানিয়েছি।'

সফরের মূল আলোচনার বাইরে ইন্দোনেশিয়া, বেলারুশসহ বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের এই সফরটা অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল বাংলাদেশের জন্য। যখন সারাবিশ্ব স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশনের নামে নানা ঝামেলায়, সেখানে একটা নতুন দুয়ার খুলে গেছে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু সম্প্রসারণ করার জন্য- সেটাই আমি মনে করি।'

ব্রিকস সম্মেলনে বিপজ্জনক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় সম্পদ অপচয় না করে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের জন্য পণ্য ও পরিষেবা প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা।

চাইলে পাব না সেই অবস্থাটা আর নাই

বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশের জোট ব্রিকসের সম্মেলনের আগেই বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার আবেদনের বিষয়টি আলোচনায় ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এর আগে এ বিষয়ে আগ্রহের কথা বলেছিলেন। এবারের সম্মেলনে ৬ দেশকে ব্রিকসে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হলেও বাংলাদেশ সেই তালিকায় নেই, যা নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। বিএনপি বিষয়টিকে সরকারের 'কূটনৈতিক ব্যর্থতা' হিসেবে বর্ণনা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক ব্রিকসে বাংলাদেশের সুযোগ না পাওয়া এবং এ বিষয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, 'এবারই ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে হবে এমন কোনো চেষ্টা বাংলাদেশের ছিল না এবং বাংলাদেশ কাউকে সেটা বলেওনি। চাইলে পাব না সেই অবস্থাটা আর নাই। কিন্তু প্রত্যেক কাজটারই একটা নিয়ম থাকে, আমরা সেই নিয়ম মেনেই চলি।'

প্রধানমন্ত্রী গত জুন মাসে তার ইতালি সফরের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে ব্রিকসে নতুন সদস্য নেওয়ার আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, 'আমার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হলো, তখন আমন্ত্রণ জানালেন, ব্রিকস সম্মেলন করবে, আমাকে আসতে বললেন এবং সে সময় আমাকে জানালেন যে, তারা কিছু সদস্যপদ বাড়াবেনও এবং সেটাতে আমার মতামত জানতে চাইলেন। আমি বললাম যে, এটা খুবই ভালো হবে। কারণ ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন থেকে এই পাঁচটা দেশের সরকারের প্রধানের সঙ্গে আমার যোগাযোগ সবসময় ছিল এবং আছে।'

তিনি বলেন, 'ব্রিকসের সদস্য হওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আমাকে তখনই (জুন) বলেছিলেন যে, ধাপে ধাপে নেবেন, তারা ওই ভৌগোলিক অবস্থানকে বিবেচনা করে যে দেশগুলো তাদেরকে নেবেন এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে তারা সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন। আমরা ঠিক ওইভাবে... হ্যাঁ, নিলে আমরা খুব খুশি। কিন্তু আমরা ঠিক ওইভাবে ব্রিকসে এখনই সদস্যপদ পাব, এই প্রথমবারই যে সদস্যপদ পাব, এ ধরনের চিন্তা আমাদের মাথায় ছিলও না, আর সেই রকম চেষ্টাও কিন্তু আমরা করিও নাই বা কাউকে আমরা বলিও নাই।'

ব্রাজিল ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা কিন্তু কাউকে কিছু বলতে যাইনি যে, এখনি মেম্বার করেন। তখন থেকে আমরা জানি যে তারা কয়েকটা দেশ নেবেন।'

ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্য সরকারপ্রধানদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও সদস্যপদ নিয়ে আলোচনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'ওই সময় আলোচনা হয়, 'এখন আমরা এই কয়জন নেব। এরপরে ধাপে ধাপে আমরা আরও সদস্য সংখ্যা বাড়াব'; এই।'

বিরোধীদলের সমালোচনার জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা জানি, এই ইসু্যটা আসবে বা আমাদের অপজিশন থেকে খুব হতাশ, যে আমরা নাকি চেয়েছি, পাইনি, হেনতেন। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা কিন্তু ঠিক না। অন্তত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের যে মর্যাদাটা আমরা তুলে ধরেছি, সেখানে আমাদের সেই সুযোগটা আছে।'

তিনি বলেন, 'তারা বলতে পারে, কারণ তারা বিএনপির আমলে ওইটাই ছিল। বাংলাদেশের কোনো অবস্থানই ছিল না সারাবিশ্বে। বাংলাদেশ মানেই ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, বন্যার দেশ, হাত পেতে চলার দেশ, ভিক্ষা চাওয়ার দেশ। এখন অন্তত বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ না, এটা সবাই জানে।'

প্রধানমন্ত্রী জানান, ব্রিকস জোটের অধীনে গঠিত নিউ ডেভেলপমন্টে ব্যাংকে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ শুরু থেকেই বাংলাদেশের ছিল এবং বাংলাদেশ ওই ব্যাংকের সদস্য হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা যখন শুনলাম যে, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হচ্ছে, ওটার উপরে আমাদের আগ্রহটা বেশি ছিল, সেখানে আমরা যুক্ত হতে চেয়েছিলাম।'

আত্মবিশ্বাস থাকলে ডক্টর ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না

????অনুষ্ঠানে ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বানে ১৬০ জন বিশ্বনেতার খোলা চিঠি পাঠানোর প্রসঙ্গও ওঠে। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, 'আত্মবিশ্বাস থাকলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না। ভদ্রলোকের যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকত আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। এছাড়া আমাদের সব কিছু আইন অনুযায়ী চলে। কেউ যদি ট্যাক্স না দেয়। আর যদি শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। আর লেবার কোর্টে মামলা হয়, আমাদের কী সেই হাত আছে মামলা বন্ধ করে দেব?'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই মামলাটি চলমান (সাব জুডিস)। আমাদের দেশে আমরা চলমান মামলা নিয়ে আলোচনাও করি না। কারণ এটা সাব জুডিস। যেখানে যেটি নিজের দেশে সাব জুডিস হিসেবে গণ্য করা হয়, সেখানে বাইরের থেকে বিবৃতে এনে মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। আমি কে মামলা প্রত্যাহার করার? আমার কী অধিকার আছে? আমার সেই ক্ষমতা আছে? জুডিশিয়াল তো স্বাধীন। আমরা তো হস্তক্ষেপ করতে পারি না।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'যারা বিবৃতি দিয়ে তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) বিচার স্থগিত করতে বলেছেন তাদের বলছি বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী পাঠাক, এক্সপার্টরা দেখুক অনেক কিছু পাবেন। আমাদের দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সব কিছুই আইন মতো চলে।'

পেনশন তহবিলের টাকায় ভোট! এমন দীনতায় আওয়ামী লীগ পড়েনি

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, এটা সরকারের 'নির্বাচনী তহবিল তৈরির ফন্দি'। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, 'সর্বজনীন পেনশনের টাকা কীভাবে কোথায় জমা হবে এবং কীভাবে মানুষ পেনশন পাবে, তা 'খুব স্পষ্টভাবে' বলা আছে। আর এই টাকা নিয়ে ইলেকশন ফান্ড করতে হবে, আওয়ামী লীগ তো ওই রকম দৈন্যতায় পড়েনি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে নিজের খেয়ে নৌকা, আর জনগণ নিজের খেয়ে নৌকায় ভোট দেয়। এবং আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে।'

সর্বজনীন পেনশন নিয়ে 'নেতিবাচক' কথায় বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'বৃদ্ধ বয়সে তাদের একটা নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্যই এই সর্বজনীন পেনশনের কথাটা আমরা বলেছি। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের সময় এটা ঘোষণা ছিল, আমরা এটা কার্যকর করেছি।'

নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীকে 'ধরবেন' প্রধানমন্ত্রী

নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেট নিয়ে দায়িত্বশীল দুই মন্ত্রী দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গও ওঠে সংবাদ সম্মেলনে। 'সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যায় না। সেখানে হাত দিতে গেলে বিপদ আছে।'-এমন বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'বিপদ আছে কে বলেছে, আমি ঠিক জানি না। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।'

এক সাংবাদিক বাণিজ্যমন্ত্রীর কথা উলেস্নখ করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন? বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরব তো। খাদ্যপণ্য নিয়ে কয়েকটা হাউস ব্যবসা করে। যখনই তারা দাম বাড়ায় আমরা আমদানি করি, বিকল্প ব্যবস্থা করি। যাতে তারা বাধ্য হয় দাম কমাতে। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই। কাজেই সিন্ডিকেট থাকলে তা ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা না। কত শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমি জানি না, আমি দেখব কী ব্যবস্থা করা যায়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে