সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

না ফেরার দেশে ভাষাসৈনিক মিয়া আবদুল মতিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার কৃতী সন্তান ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিন ভূঁইয়া (৯৩) শনিবার সকালে কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মিয়া আবদুল মতিন আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকি গ্রামের বাসিন্দা। আব্দুল মতিন ভূঁইয়া তখন আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আটজনের মিছিলে তিনি নেতৃত্ব দেন। সেই মিছিলটি আখাউড়া উপজেলার মোগড়া বাজার ও গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। 'উর্দু ভাষায় লাথি মার, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চালু কর', 'রাষ্ট্রভাষা চাই', 'আমাদের ভাষা বাংলা ভাষা' এমন পস্ন্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিলটি এগিয়ে যেতে থাকে। সে সময় ওই মিছিলে বিদ্যালয়ের ৮০০-এর মতো শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিল।

ভাষা আন্দোলনের জন্য মিয়া আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে শুরু করা আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়। আর সেই বিষয়টি জেনে যায় তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকার। নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রম্নয়ারি আব্দুল মতিন ভূঁইয়াকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। টানা দুই মাস কারাভোগ শেষে জেল থেকে তিনি ছাড়া পান।

১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষাসৈনিক মিয়া মতিনসহ আরও কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান এবং সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।

ভাষাসৈনিক মিয়া আবদুল মতিন একাধিকবার ভাষাসৈনিক হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন। আখাউড়া রানার্স নামে একটি সংগঠন আট কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে সম্মাননা প্রদান করে। চলতি বছরের মার্চ মাসে সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ভাষাসৈনিক মিয়া আবদুল মতিনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে