আজকের যায়যায়দিন

পাবনায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যের সবজির বাজার। শহরের ঘোড়াস্ট্যান্ড ও রায়বাহাদুর গেটের অদূরে এই সবজি বাজার করা হয়েছে। মূলত দ্রব্যমূল্যের ঊর্র্ধ্বগতিতে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্টের কথা ভেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার বেলা ৩টার দিকে ওই সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবজি কিনতে ক্রেতাদের বেশ ভিড়। নিজেদের প্রয়োজনীয় সবজি কিনছেন তারা। তাদের চোখেমুখে স্বস্তির চিহ্ন। বাজারে বিক্রির কাজে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা।

ন্যায্যমূল্যে সবজির বাজারে দায়িত্বরত দেওয়ান মাহবুব জানান, ন্যায্যমূল্যের বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ১৫ টাকা, পটোল ৩৫, ফুলকপি ৩৫, মুলা ৫, মিষ্টিকুমড়া এক ফালি ২০, প্রতি পিস লাউ ২৬, সবুজ শাক দুই আঁটি ১৫, কাঁচামরিচ ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা বর্তমান বাজারদর থেকে অনেক কম।

তিনি বলেন, গত সোমবার এই ন্যায্যমূল্যের সবজির বাজার চালু করা হয়েছে। সপ্তাহের সাতদিন সকাল ১০টা থেকে সবজি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকালে কৃষকের জমি থেকে সরাসরি সবজি কিনে এনে বিক্রি করা হচ্ছে।

গরমে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা

সবজি কিনছিলেন মতিউর রহমান নামের এক রিকশাচালক। তিনি বলেন, 'বর্তমানে বাজারে গেলি যেরম দাম বাড়িছে, তা আর কি কবো। অর্ধেক বাজার কইরে লিয়ে বাড়িত যাওয়া লাগে। এহেনে দেখতিছি বাজারের চাইতে দাম মেলা কম। আজকে বেশি করে কিনবের পারলেম।'

সবজি কিনতে আসা নাজমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ বলেন, 'বাজারে গেলি দেহা যায় এক কেজি বেগুন লেয় ৪০ টেকা। এহেনে পাইলেম ১৫ টেকায়। এক আঁটি শাক লেয় ২০ টেকা। এহেনে লিলেম দুই আঁটি ১৫ টেকায়। কত উপকার হলো। এই উদ্যোগটা খুব ভালো। গরিব মাইনসের খুউব উপকার হচ্ছে।'

ন্যায্যমূল্যে সবজির বাজারের উদ্যোক্তা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন বলেন, 'কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে সবজির বাজার নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরাসরি কৃষকের ক্ষেত থেকে সবজি কিনে এনে বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছি, এতে করে ভালো সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'এরপর আমরা পেঁয়াজ, তেল, চাল, ডাল, মাংসসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করব। বাজার নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।'