আগুনঝরা ফাগুনের আবাহনে ফুটেছে শিমুল ও পলাশ। গ্রামের মেঠো পথে কখনও কখনও ভেসে আসছে কোকিলের কুহু কুহু কলতান। সেই সঙ্গে মধু মাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ। সেই মিষ্টি ঘ্রাণে চারিদিক মৌ মৌ করছে। আমের মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার প্রতিটি গ্রামের বাড়ি এবং বাগানের আম গাছে প্রকৃতির আপন খেয়ালে বসন্তের আগমন ঘটেছে। ফুলে ফুলে সুবাসিত হচ্ছে চারদিক। গাছের শাখা-প্রশাখায় স্বর্ণালী ফুলগুলো চারিদিকে যেন ফাগুনের রূপের ব্যঞ্জনাময় উৎসবের জানান দিচ্ছে।
ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- বাড়ির উঠানে, সৌখিন বাগানে, রাস্তার ধারে আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালপালা। সেই সঙ্গে বিদায় নিচ্ছে শীতকাল। আবহাওয়ার উপর আমের ফলন নির্ভর করে। কিন্তু কুয়াশা আর রোদের মিশ্র আবহাওয়ায় রয়েছে ঝুঁকিও। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে বলছেন কৃষিবিদরা।
উপজেলার দাঁতমারা শান্তিরহাট ইউনুস এগ্রো ফার্মের পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল ও ভূজপুর এলাকার সৌখিন আম চাষি হাফেজ সেলিমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন আগে তাদের লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। ৮০ ভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে।
কিন্তু ভোরে কুয়াশা আবার সকাল ৭-৮টার দিকে প্রচন্ড রোদে মুকুল ঝরে যায় বলে জানিয়েছেন ইউনুস এগ্রোর পরিচালক ইকবাল। এজন্য কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সার দেওয়া থেকে পরিচর্যা সবকিছু করার কথা জানান ইকবাল। সৌখিন আম চাষি হাফেজ সেলিম জানান, 'আমাদের এলাকায় মাঠ পর্যায়ে যে কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন, তিনি সব সময় বাগান তদারকি করেন। উপজেলা থেকে সুযোগ-সুবিধার জন্য আমাদের নাম লিখে নিয়ে গেছেন। তবে এখনো কোনো সহযোগিতা পাননি।