শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আক্কেলপুর উপজেলা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ ভবনে

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
  ১০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

পোস্টমাস্টার যেখানে বসেন তার মাথার ওপরেই ছাদের পলেস্তারা খসে রড দেখা যাচ্ছে। পোস্ট অফিসের পুরো ছাদেরই অবস্থা খারাপ। ফাটল ধরেছে দেয়ালেও। পোস্ট মাস্টারসহ অন্য কর্মচারী সবাই আতঙ্কের মধ্যে তাদের দাপ্তরিক কাজ করছেন। এই চিত্রটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা পোস্ট অফিসের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অফিসের ভবনটি সড়কের চেয়ে অনেক নিচু। পোস্ট অফিস ভবনের ছাদের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খুলে পড়েছে। পোস্টমাস্টার যেখানে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন ঠিক তারই মাথার ওপর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে রয়েছে। ভবনের সামনে দেয়ালে ফাটল ধরেছে। অফিসের সীমানাপ্রাচীর থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। অনায়াসে অফিসের ভেতরে জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারে। গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণীর অবাধ বিচরণে পরিণত হয়েছে অফিস এলাকা।

পোস্ট অফিসে সেবা নিতে আসা ১০-১২ জন গ্রাহক বলেন, উপজেলা পোস্ট অফিস একটু টিপটপ হবে। কিন্তু আমাদের এই উপজেলা পোস্টঅফিস ভবনের জীর্ণশীর্ন অবস্থা। ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। আবার ছাদের অবস্থা মোটেও ভালো নয়।

পোস্টমাস্টারের টেবিলের সামনে গেলে মনে হয় কখন যে ছাদের পলেস্তারা খুলে মাথায় পড়ে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে অফিসের সামনে হাঁটুপানি জমে থাকে। তখন অফিসে আসা-যাওয়া করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমন অবস্থায় থাকলে মানুষ আর পোস্টঅফিসে আসবে না। পোস্টঅফিসের সেবা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করছেন অনেক গ্রাহক ও এলাকাবাসী। গ্রাহক মিনার হোসেন বলেন, মুঠোফোন ও অনলাইনের যুগে পোস্টঅফিসে আগের মতো আর চিঠিপত্র আদান-প্রদান হয় না। কিন্তু এর গুরুত্ব একটু কমেনি বরং বেড়েছে। সঞ্চয়পত্র, টাকা জমা রাখার প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পোস্ট অফিস ভবনের বেহাল অবস্থা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।

উপজেলা পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে আক্কেলপুর পৌরশহরের প্রধান সড়কের সরদারপাড়া মহলস্নায় উপজেলা পোস্টঅফিসের ভবন ও পোস্টমাস্টারের বাসভবন নির্মাণ করা হয়। অফিস ভবনটি নিচু স্থানে হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে অফিসের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পোস্টমাস্টারের বাসভবন অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন সেখানে কেউ থাকেন না। পোস্টঅফিসে, এস,বি, এফ,ডি, ই,এম,ও, ক্যাশকার্ড ও বীমার কার্যক্রম চলে। প্রতিদিন এসব কার্যক্রমে পোস্টঅফিসে ২৫-৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয়।

\হউপজেলা পোস্টঅফিসের মাস্টার বেলাল হোসেন বলেন, অফিস ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অফিস পরির্দশনে আসেন। তারা ভবনের বেহাল দশার কথা লিখে নিয়ে যান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে