শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড় ও বেলকুচিতে নতুন জাতের ধানে সফলতা

ম পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২২, ০০:০০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান পঞ্চগড়ে প্রথম আবাদেই কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জিংকসমৃদ্ধ, চিকন চালের এই জাতটি উচ্চ ফলনশীল। হারভেস্ট পস্নাস'র সহযোগিতায় আরডিআরএস বাংলাদেশ পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের ভান্ডারুগ্রামের চারজন কৃষকের মাধ্যমে এক হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চলতি বোরো মৌসুমে এই জাতের ধান চাষ করে। এই মৌসুমে অন্যান্য জাতের ধান যেখানে হেক্টর প্রতি ফলন এসেছে সাড়ে ৫ থেকে ৬ মেট্রিন টন সেখানে বঙ্গবন্ধু-১০০ তে ফলন হয়েছে প্রায় ৮ মেট্রিক টন। এই ধান কর্তন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভান্ডারুগ্রামের কৃষক রবিউল ইসলামের জমিতে হাজির হন হারভেস্ট পস্নাস-বাংলাদেশর রংপুর বিভাগের সমন্বয়কারী রুহুল আমিন মন্ডল, পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ পলাশ, আরডিআরএস বাংলাদেশ রংপুরের কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম, আরডিআরএস পঞ্চগড়র কৃষি কর্মকর্তা রবিউল আলম, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর শাহাজাহান আলী প্রমুখ।

ভান্ডারুগ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, আরডিআরএস বাংলাদেশের সহযোগিতায় তিনি চলতি বোরো মৌসুমে এক একর জমিতে বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান আবাদ করেছেন। এক বিঘা জমির ধান কেটেছেন কয়েকদিন আগেই। শুকানোর পর তিনি ধান পেয়েছেন প্রায় ২৬ মণ।

হারভেস্ট পস্নাস-বাংলাদেশ রংপুর বিভাগের সমন্বয়কারী রুহুল আমিন মন্ডল জানান, আমরা প্রতিবছর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন নতুন উদ্ভাবিত ধান কৃষকদের মাধ্যমে চাষ করি। চলতি বছর পরীক্ষামূলকভাবে কম সংখ্যক কৃষকদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান চাষ করা হয়েছে। এই জাতের ধানের ফলনও হয়েছে অনেক।

এদিকে বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পৌর এলাকার বয়ড়াবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফের জমিতে নতুন জাতের অগ্রনী-০৭, ব্রি-৮৯ এবং ব্রি-৮১ ধান চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন।

কৃষক আব্দুল লতিফ বেলকুচি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে বিদেশে ধান চাষে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পালের সহযোগীতায় এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া আকন্দ ও উপ-সহকারী কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিনের পরামর্শে ২০২২ সালে অগ্রনী-৭ ব্রি-৮৯ এবং ব্রি-৮১ ধান চাষে পর্যাপ্ত ফলন পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন।

কৃষক লতিফ জানান, 'অনেক ধান দেখেছি কিন্তু অগ্রনী-০৭ এই ধানের শীষ ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চি লম্বা, ধান পাথরের মত ভারি।' ব্রি-৮৯/৮১ এবং অগ্রনী-৭ সব জাত মিলে ৮ বিঘা জমি চাষ করেছেন।

এলাকার অনেক কৃষকদের মধ্যে তার নিজস্ব উৎপাদিত বীজ সরবরাহ করে থাকেন। অনেক প্রতিকুল আবহাওয়ার মাঝেও কৃষক লতিফের ধানক্ষেত এখনও দন্ডায়মান এবং দর্শনীয় ফসল হিসাবে ঝলমল করছে। এলাকার অনেক উৎসুক কৃষক প্রায়ই তার ধানক্ষেত দেখতে জমির পাশে ভিড় জমায়। কৃষক আব্দুল লতিফের আকাঙ্খা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমার এ সাফল্যের জন্য তার নিজ হাত দিয়ে পুরস্কৃত করলে আমার কৃষি জীবন ধন্য হতো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে