শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চকরিয়ায় খাল খননে আড়াই হাজার একর জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত

অবশেষে কৃষকের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
কক্সবাজারের চকরিয়ার পুইড়নমারা শাখাখাল খনন উদ্বোধন করেন জাফর আলম এমপি -যাযাদি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বেসুমার কৃষকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি স্থানীয় রামপুর পুইড়নমারা শাখাখালটি খনন করা হোক। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় পর দুই কিলোমিটার এলাকায় জেগে ওঠা চর কেটে খালটি খননের মাধ্যমে অবশেষে সেই দাবি পূরণ করেছেন সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী। এখন পুইড়নমারা খালে মিঠাপানির উৎস তৈরি হয়েছে। পাশের মাতামুহুরী নদী থেকে মোহনা হয়ে অনায়াসে পুইড়নমারা খালে প্রবাহিত হচ্ছে মিঠাপানি। এতে চাষের আওতায় এসেছে সাহারবিল ছাড়াও আশপাশ এলাকার অন্তত আড়াই হাজার একর অনাবাদি জমি।

সরেজমিন দেখা গেছে, সাহারবিলের পুইড়নমারা শাখাখালটি খননের মাধ্যমে দীর্ঘ বছর ধরে সংকোচিত হয়ে পড়া খালটি পানি চলাচলে গতি-প্রকৃতি নতুনরূপে ফিরে পেয়েছে। আর খালে মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে খুশির আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। খালের তীরে সেচ পাম্প বসিয়ে অনেক কৃষক ইতোমধ্যে মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিতেও শুরু করেছেন।

ইতোমধ্যে খাল খনন পরবর্তী মিঠাপানির সেচ সুবিধা নিশ্চিতে কৃষকদের বসানো সেচ পাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। সেচ সুবিধার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম।

সাহারবিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনও জেপি দেওয়ান, উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম নাছিম হোসেন, সাহারবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা।

সাহারবিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী বলেন, কালের পরিক্রমায় দখল দূষণে পুইড়নমারা খালটি সংকোচিত হয়ে পড়ে। তাতে পানি চলাচল একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে গেলে চাষাবাদ নিয়ে কৃষকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। খালটি খননে স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম ও ইউএনও জেপি দেওয়ানের সহযোগিতা চান তিনি। সাংসদ ও উপজেলা প্রশাসন ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাদের আশ্বাস পেয়ে তিনি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে খালটি খননে উদ্যোগ নেন। প্রায় ২২ দিন মাটি কাটা শেষে পুইড়নমারা খালটি আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। এখন খালে মিঠাপানির উৎস তৈরি হয়েছে। জমিতে নির্বিঘ্নে সেচ সুবিধা নিতে পেরে এখন কৃষকদের সঙ্গে এলাকাবাসীও খুশি।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম নাছিম হোসেন বলেন, 'আমরা এ ধরনের কৃষিবান্ধব উদ্যোগ নেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে