সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

অপ্রচলিত ফল 'অরবরই'

এস আর এ হান্নান, মহম্মদপুর (মাগুরা)
  ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার কানাইনগর গ্রামের পলাশ রহমানের বাড়িতে লাগানো গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে অরবরই -যাযাদি

অপ্রচলিত এই ফলটির নাম 'অরবরই'। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কানাইনগর গ্রামের পলাশ রহমানের বাড়ির একটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে 'অরবরই'। ফলটি গোলাকার, ত্বক খাঁজকাটা। পাকলে হালকা হলুদ রঙের হয়। জানুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসে ও এপ্রিল মাসে ফল পাকে। মে মাসে আবার ফুল আসে এবং আগস্ট মাসে ফল পাকে। অরবড়ই গাছের আকার মাঝারি ধরনের। গাছটি ৩০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। গাছের ছাল কিছুটা রুক্ষ। তবে পাতা সরল।

পলাশ রহমান বলেন, 'তিন বছর আগে গাছটি লাগিয়েছি। বছরে তিনবার প্রচুর ফল ধরে। এটি আমি বিক্রি করি না। লোকজনদের দিয়ে দিই।'

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঔষধি গুণসম্পন্ন অরবরইয়ের রস যকৃৎ, পেটের পীড়া, হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র, অজীর্ণ ও জ্বর নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। এই গাছের পাতা গনোরিয়া রোগের উপশমকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলের বীজেও রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা আছে।

অরবড়ইকে সংস্কৃত ভাষায় 'লবলী' বলা হয়। তবে আমাদের দেশে অঞ্চলভেদে 'নোয়াড', 'নলতা', 'লেবইর', 'ফরফরি', 'নইল', 'নোয়লে', 'রোয়াইল', 'রয়েল', 'রয়াল', 'আলবড়ই', 'অরবড়ি' নামেও এটি পরিচিত। অম্স্ন স্বাদের কারণে ফলটি অনেকের কাছে খুবই প্রিয় এবং পছন্দের। বিশেষ করে নারীদের কাছে এটির কদর রয়েছে। সুস্বাদু আচার বা চাটনি তৈরিতে ফলটি ব্যবহার করা হয়।

জানা যায়, অরবড়ইয়ের আদিনিবাস মাদাগাস্কার। এটির ইংরেজি নাম- ংঃধৎ মড়ড়ংবনবৎৎু এবং বৈজ্ঞানিক নাম- চযুষষধহঃযঁং ধপরফঁং.

ফলটির গুণাগুণ নিয়ে মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান বলেন, 'অরবড়ই' ভিটামিন 'সি' ও 'ক্যালসিয়াম' সমৃদ্ধ টক জাতীয় ফল। মানবদেহের জন্য উপকারি ও খেতে বেশ মজা হওয়ায় এটির বেশ চাহিদা রয়েছে। বাড়ি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় অরবড়ই গাছ লাগানো যেতে পারে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে