সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতার জন্য এত রক্ত আগে কেউ দেয়নি

বাংলা একাডেমিতে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ
যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
আপডেট  : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:৫০
শনিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে 'বাংলাদেশ গণহত্যা স্মরণ ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ : বহুমাত্রিকতার খোঁজে' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ -স্টার মেইল

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সব বর্বরতাকে হার মানিয়েছিল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানিদের নিষ্ঠুরতা। বাঙালিদের মতো স্বাধীনতার জন্য এত রক্ত পৃথিবীতে এর আগে কেউ দেয়নি। দেশের আনাচে-কানাচে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বাবার সামনে ছেলেকে, ছেলের সামনে বাবাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। রক্তের হোলি খেলা চলেছে।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সহযোগিতায় গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত 'বাংলাদেশ গণহত্যা স্মরণ ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ : বহুমাত্রিকতার খোঁজে' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, লাখ লাখ মা-বোনের সম্মানহানি করা হয়েছে। এত রক্ত, এত নির্যাতন আর কোনো কালে হবে কিনা সন্দেহ। এর সবই বৃথা যেত যদি দেশ স্বাধীন না হতো। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির হাজার বছরের এ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করেন, প্রশ্ন তোলেন। আমি মনে করি, শহীদের সংখ্যা নিয়ে এ সংখ্যাতাত্ত্বিক বিতর্ক তাদের প্রতি অবমাননার শামিল।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক পরিচালিত জরিপে ইতোমধ্যে চিহ্নিত বধ্যভূমির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ জরিপ সম্পন্ন হলে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়াবে।

১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ডক্টর সজল নাগ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সদস্য এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট কবি তারিক সুজাত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মেলনে ভারত থেকে আগত অতিথি কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মেলনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সদস্য, বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও লেখকরা অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে