আজকের যায়যায়দিন

বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার ও বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেক হোল্ডার হিসেবে বিবেচনা করে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীদেরও পর্যটন বিকাশে যথাযথ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সেক্টরে নীতি নির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছে খাত সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এভিয়েশন অ্যান্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ একটি সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব অভিমত দেন। আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।

সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা আছে। আমাদের এখন দরকার বিদেশের পর্যটক আকর্ষণ করা। আমাদের নতুন নতুন হোটেল হচ্ছে। এজন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দরকার। ভিসার ক্ষেত্রে আমাদের উদার হওয়া দরকার। রাষ্ট্রের স্বার্থে নেগেটিভ বিষয়গুলো নিয়ে গণমাধ্যমকে সচেতন হতে হবে। যেন দেশ ভুক্তভোগী না হয়। মাস্টারপস্ন্যান প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।'

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, 'স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও বাংলাদেশের পর্যটন এবং এভিয়েশন খাতের বিকাশে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোনো উলেস্নখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মিডিয়ার গঠনমূলক ভূমিকা ছাড়া কোনো দেশের পর্যটন বিকাশ সম্ভব নয়। '

খরা ও দাবদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুল-গুটি

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, 'এবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমরা দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পর্যটন এমন একটি বিষয়ে যা প্রচার করতে হয়, আর এজন্য মিডিয়ার ভূমিকা প্রয়োজন। আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মিডিয়ার সঙ্গে গ্যাপ কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।'

বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, 'আমাদের মিডিয়া পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশ নেগেটিভ নিউজ বেশি পছন্দ করে, এ কারণে কিছু খারাপ খবর বেশি আসে। আমাদের মিডিয়াকে পর্যটনের বিষয়ে আরও আন্তরিক হতে হবে।'