আজকের যায়যায়দিন

যশোরের চৌগাছায় হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক সিরাজুল ইসলাম। ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি তিনি। পাঁচ বিঘা জমিতে পেয়ারা আবাদের মধ্যে সাথি ফসল হিসেবে খরিপ-২ হাইব্রিড সুইটি জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন তিনি।

কৃষক সিরাজুল উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের স্বরূপপুর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় মূলত রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাই বাড়তি আয় করতেই রাজমিস্ত্রির কাজের পাশাপাশি কৃষিতে মনোযোগ দেন। তিনি গত বছর এক বিঘা জমিতে পেয়ারা আবাদের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেন।

কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে পেয়ারার সাথি ফসল হিসেবে খরিপ-২ হাইব্রিড সুইটি জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এ পাঁচ বিঘা জমি থেকে থেকে ইতোমধ্যে চারবারে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেছি প্রায় ৬০ হাজার টাকার। কম খরচে বেশি লাভ। এ মৌসুমে খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।'

তিনি আরও জানান, 'আমি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। প্রতিবেশীদের দেখে জমি বর্গা নিয়ে ফল চাষের প্রতি আকৃষ্ট হই। গতানুগতিক ধারা পরিবর্তনের আগ্রহ থেকেই এক ফসলের মধ্যে সাথি ফসলের চাষ শুরু করি। এখন আমার ১৩ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে।'

খরা ও দাবদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুল-গুটি

২০২২ সালের মার্চ মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ মিয়ার কাছ থেকে হাইব্রিড চায়না জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ সংগ্রহ করেন। পরে তা পেয়ারা বাগানের জমিতে রোপণ করেন।

কিছু দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসতে শুরু করে। মিষ্টি কুমড়া ভরে যায় ক্ষেত। লাগানোর শুরু থেকে এ পর্যন্ত পরিচর্যাসহ খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। বর্তমান ক্ষেতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ মিষ্টি কুমড়া রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী ক্ষেত ধরে ক্রয় করতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে তিনি জানান।

স্থানীয় কৃষক তুহিন হোসেন ও মাহাবুর রহমান জানান, 'সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে নতুন চাষ পদ্ধতি শুনেছি। আমরাও মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করব।'

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন বলেন, 'এ বছর উপজেলায় সুপ্রিমা ও খরিপ-২ হাইব্রিড সুইটি জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে। এ ধরনের নতুন পদ্ধতিতে চাষ কৃষকদের উৎসাহী করতে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত কৃষি বিভাগ। সব ধরনের সবজি চাষে উৎসাহী কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা দিতে কৃষি বিভাগ প্রস্তুত।'