সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোবিন্দগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ওলকচু

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  ২১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ এলাকার একটি ওলকচুর ক্ষেত -যাযাদি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ওলকচুর চাষ। এক সময় পারিবারিক চহিদা মেটাতে স্বল্প পরিসরে ওলকচুর আবাদ হলেও অন্যান্য ফসল আবাদের পাশাপাশি এ বছর অনেক কৃষকরা ওলকচুর চাষ করছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও বিভিন্ন সহায়তা পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ওলকচুর ভালো ফলনের আশা চাষিদের।

চলতি বছর কৃষকরা অন্য ফসল আবাদের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে ওলকচু চাষ করছেন। এবার সবচেয়ে বেশি ওল চাষ হয়েছে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা, রসুলপুল, ঘোড়ামারা ও কোচাশহর ইউনিয়নের ভাগ গোপাল, শ্রীমুখ, শোলাগাড়ী, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া, ঘুগা বিলভর্তি, নাগের ভিটা এলাকায়।

স্থানীয় কৃষক সোলায়মান আলী জানান, 'মাদরাজী জাত পাওয়ায় তারা ওলকচুর বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন। অপেক্ষাকৃত উঁচুভিটা জমিতে চৈত্র, বৈশাখে ওলকচু লাগানো হয়। এ ফসলের রোগ বালাই অনেক কম এবং ৭ থেকে ৮ মাসেই একটি গাছ থেকে দুই থেকে তিন কেজি ফলন পাওয়া যায়। ওল চাষে উৎপাদন খরচ কম ও বাজার ভালো দাম পাওয়া যায়।

\হজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, 'ওলকচুর চাষ একটি লাভজনক আবাদ। তাই অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকদের বাণিজ্যিক এর চাষ শুরু করছেন। এ ধরনের চাষ আবাদে কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণে প্রশিক্ষণসহ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওলকচু চাষ বৃদ্ধিতে কাজ করছেন কৃষি বিভাগ।'

উপজেলায় এ বছর ৩০ হেক্টর জমিতে ওলকচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরমধ্যে ২৭ হেক্টর জমিতে ওলকচুর চাষ হয়েছে। গত বছর এই উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে ওল চাষ হয়েছিল। আগামীতে এর চাষ আরও বৃদ্ধি পেলে দেশে ওলকচুর চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। এতে করে কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে