বরগুনার তালতলীতে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে সোনাকাটা ইকোপার্কটির বেহাল দশা। এই পার্কটিতে দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য ১৬টি কাঠের সেতুর মধ্যে ১০টি ব্যবহারের অনুপযোগী। এই পার্কটিতে যাওয়া আসার সড়কটি হেরিংবোনের ইট। বিশুদ্ধ পানির জন্য স্থাপিত নলকূপ। পার্কটির শৌচাগারের দরজা-জানালা ও বেসিন ভেঙে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যার ফলে এগুলো এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ার কারণে দর্শনার্থীদের আগমন আগের তুলনা অনেক কমে গেছে।
তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইকো-টু্যরিজমের সুযোগ বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মসূচির আওতায়। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের পর টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সকিনা বিটে। ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনাকাটা ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠানটি করা হয়। ১৩ হাজার ৬৩৪ একর জমির ওপর উপকূলীয় এই বনাঞ্চল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চোখে পড়ার মতো কোনো ধরনের সংস্কার করা হয়নি এখনো পর্যন্ত।
বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, বনের ভেতরে বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণের জন্য ইটের প্রাচীর ও লোহার গ্রিল দিয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে।
মাসুম বিলস্নাহ্ নামের একজন পর্যটক বলেন, পার্কটির ভেতরের পরিবেশ খুবই খারাপ অবস্থা। এই পার্কে আসতে হলে একটি বড় খাল ছোট খেয়া নৌকায় পার হতে হয়। এতে করে ঝুঁকি রয়েছে।
টেংরাগিরি ইকোপার্কের দায়িত্ব থাকা সখিনা বিটের বিট কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও কল ধরেননি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। এখনো পর্যন্ত এই পার্কটিতে যেতে পারিনি। দ্রম্নত পার্কটি পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। যাতে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার করে পর্যটনমুখী করা যায়।