শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে

চাঁদপুরে সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ রোববার চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে বৃক্ষরোপণ করেন -আইএসপিআর

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে, এই মুহূর্তে সীমান্ত এলাকায় কোনো শঙ্কা নেই।

রোববার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব-উত্তর উপজেলার দক্ষিণ টরকী এলাকায় আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, আমি একাধিকবার মিয়ানমার ভিজিটে গিয়েছি। সে সময় মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ছাড়াও তাদের নৌ ও বিমান বাহিনীপ্রধানরা দ্বিপক্ষীয় মিটিংয়ে ছিলেন। তখন আমাকে আশ্বাস দিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকায় তারা অভিযান চালাচ্ছে। যার কারণে তাদের সীমান্তে মাঝেমধ্যে জনবল বৃদ্ধি করছে। এতে তাদের সঙ্গে যে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে, এই বিষয়টা যেন অন্যভাবে চিন্তা না করা হয়।

জেনারেল আজিজ বলেন, 'আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের যোগাযোগ আছে। যখনই কোনো কিছু হয়, তা যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করে থাকি। এই মুহূর্তে তেমন কিছু হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।'

এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি রাজনৈতিক। এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে, আগামী দিনেও করবে।

জেনালের আজিজ আরও বলেন, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। দেশের যে কোনো প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো কাজ করতে আমরা বাধ্য। এই করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে কাজ করে যাচ্ছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১১শ' থেকে ১২শ' গাড়ি নিয়ে সেনাসদস্যরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় গিয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা প্রদান ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। সেনাবাহিনী করোনার মতো অতীতেও বিভিন্ন দুর্যোগে দায়িত্ব পালন করেছে, ভবিষ্যতেও যদি কখনো কোনো দায়িত্ব আসে তা যথাযথভাবে পালন করবে। যে কোনো দুর্যোগে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণেরও একটা অংশ।

সেনাপ্রধানের বাবার নামে নির্মিত আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. শাখাওয়াত উলস্নাহ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলালসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে