শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদকে কেন্দ্র করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৯ জন গ্রেপ্তার

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ঈদকে কেন্দ্র করে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গাজীপুরের গাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোববার রাতে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। এ সময় তাদের কাছে থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আয়নাল মিয়া, মো. আন্ডু মিয়া, মো. আজিজুল ইসলাম, উজ্জ্বল চন্দ্র মোহন্ত, মো. শাহিন, মো. রনি, মো. শহীদ ও মোহাম্মদ আবদুল হাকিম।

সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের্ যাব-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুলস্নাহ আল মোমেন এসব তথ্য জানান।

র্

যাব-১ অধিনায়ক বলেন, চুরির মামলায় জেলে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একে অন্যের

সঙ্গে পরিচিত হন। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে মহাসড়কে ডাকাত শুরু করেন এই চক্রের সদস্যরা। গত পাঁচ বছর তারা মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছেন। এই চক্রের অধিকাংশ সদস্যের বাড়ি উত্তরবঙ্গের রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায়।

আবদুলস্নাহ আল মোমেন বলেন, এই চক্রে সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১২। তবে কোনো ডাকাতির সময় তাদের ছয় থেকে নয়জনের দল কাজ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র?্যাবের কর্মকর্তা জানান, চক্রের সদস্যরা রংপুর এবং গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকার মহাসড়কে ডাকাতি করেন।

র?্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আয়নাল ডাকাত দলের সরদার শহিদুল ইসলামের অন্যতম সহযোগী। তিনি গাজীপুরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পাঁচ বছর ধরে তিনি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আয়নাল এক সময় অটোরিকশা চালাতেন। তিনি মাদক চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতিসহ চারটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আন্ডু মিয়া ১৯৯৫ সাল থেকে চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। একসময় তিনি চা-দোকান চালাতেন। আন্ডু মিয়া মূলত অন্য ডাকাত দলের সরদার খোকন মিয়ার মাধ্যমে ডাকাতি শুরু করেন। ডাকাতির মামলায় জেলে গিয়ে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে জামিনে বেরিয়ে একসঙ্গে ডাকাতি শুরু করেন তারা। এই চক্রের অন্য সদস্য শাহিনের বিরুদ্ধে দুটি, উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে দুটি আজিজুলের ও হাকিমের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে