সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ্ভগুলো ভেঙে দিচ্ছে

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ্ভগুলো ভেঙে দিচ্ছে। নিজস্ব বিধি, বিধান, সংবিধান তারা চালু করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের বলা হয় অফিসিয়ালস অব দ্যা কোর্ট। সেই বিচারালয়ে যারা কাজ করেন বা বিচার ব্যবস্থায় সহযোগিতা করেন তাদের যে বার্ষিক নির্বাচন হয়- এটা একটা ঐতিহ্য। এটাকে সবাই সম্মানের চোখে দেখেন। এটাকে জাতির বিবেক হিসেবেও দেখা হয়। সেই নির্বাচনে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে এটা জাতির জন্য, এ দেশের বিচার ব্যবস্থার জন্য একটা জঘন্যতম কলঙ্কজনক ঘটনা। এই ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসনও নেই এবং কোনো গভর্নমেন্ট আছে কি না সেটাও সন্দেহ হয়।'

বৃহস্পতিবার সকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব একথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে 'আগামী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা' শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'ক্ষমতাসীনরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থাও ভেঙে দিয়েছে। কিছুদিন আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ্ভগুলো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেওয়া। তা তারা ভেঙে দিয়েছে। তাদের নিজস্ব বিধি, বিধান, সংবিধান তারা চালু করেছে।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এই বাংলাদেশ টিকে থাকবে কি থাকবে না, গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না নাকি অন্যান্য দেশ- উত্তর কোরিয়ার মতো পুরোপুরি একটা রেজিমেন্টেড কর্তৃত্ববাদী একটা দেশে পরিণত হবে। এর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ১০ দফার আন্দোলন কোনো জোট বা দলের নয়, ১৮ কোটি মানুষ বাঁচানোর আন্দোলন। এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত ২২ আগস্ট থেকে ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছে।'

বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এ দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, কিছু পেশার লোকেরা আছেন তারা বর্তমান ব্যবস্থাকে সমর্থন করে কথা বলে। চাটুকারিতের চরম শীর্ষে যায়। তখন খুব কষ্ট হয়। মনে হয় কোন রাষ্ট্র গড়তে যুদ্ধ করলাম। এমন দেশ চাইনি। চেয়েছি সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, জনগণের বাংলাদেশ। যেখানে মানুষ কথা বলতে পারবে, যেখানে মানুষ সাম্য থাকবে, যেখানে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ থাকবে, যেখানে সত্যিকার অর্থে মানুষের মর্যাদা নিয়ে চলতে পারবে। আজকে মানুষ ভাত পায় না, চাল পায় না। লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকে ঘণ্টার ঘণ্টা। মা তার সন্তানকে ডিম দিতে পারে না প্রোটিনের জন্য। এগুলো বলতে গেলেই তথ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, বিএনপি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, আগুন সন্ত্রাস করার তৈরি হচ্ছে। আসলে আগুন সন্ত্রাস আওয়ামী লীগ করেছে।'

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বিএলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির আবদুল করিম আব্বাসী, শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, এনডিপির আবু তাহের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, মাওলানা আবদুল করিম, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে