সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ

বিনোদপুরে দোকানপাট খুললেও আসছেন না শিক্ষার্থীরা

রাবি প্রতিনিধি
  ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের সপ্তাহ হতে চললেও স্বাভাবিক হতে পারছে না বিনোদপুরে স্থানীয় দোকানদাররা। খুলছে দোকানপাট, কিন্তু আসছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নেই ক্রেতা সমাগম। শুক্রবার সকালে বিনোদপুর বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় সংঘর্ষে পর বিনোদপুর বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। সংঘর্ষের ছয়দিন পর কিছু ব্যবসায়ী তাদের পুড়ে যাওয়া ও ভেঙে যাওয়া দোকানপাট মেরামতের পর খুলেছেন। কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থী আনাগোনা নেই। তবে বাজারের পাশে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিনোদপুরে বাজারে কেনাকাটা করে থাকেন। তবে সংঘর্ষের দিন থেকে তারা বিনোদপুর বাজারমুখী হচ্ছেন না। অনেকেই বিনোদপুর বাজারকে বয়কটের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে পোস্ট করেছেন। তারা কেনাকাটার জন্য বেছে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের স্টেশন বাজার। অনেক শিক্ষার্থী আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কাঁচাবাজার বসানোর চিন্তাভাবনা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিনোদপুর বাজারে প্রায় দুই শতাধিক দোকান আছে। এর মধ্যে বাজারের অলিগলিতে এখনো অনেক দোকান বন্ধ। খোলা দোকানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই সবজি, মাছ ও মুরগির। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর না যাওয়ায় বেচাকেনা নেই বললেই চলে।

বিনোদপুর বাজারের উত্তর পাশে মো. বাদশাহ ও আলাউদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি খাঁচায় কিছু মুরগি নিয়ে বসেন। বাদশাহ বলেন, 'সকাল থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাত-আটটি মুরগি বিক্রি করতে পেরেছি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী আসেননি। যারা কিনেছেন, তারা সবাই বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। তাদের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমেই এটাকে সমাধান করতে হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান- উল-ইসলাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ক্লাসের পাশাপাশি পরীক্ষাও চলছে। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাজে মন দিচ্ছেন। পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও চলছে।'

বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে স্থানীয় মেস মালিকদের সঙ্গে বসেছি আমরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বিনোদপুরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা আছে। দ্রম্নতই এই সমস্যার সমাধান হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে