সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার ফাঁকা সড়কে রিকশার দাপট

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
ঈদের তৃতীয় দিন শনিবারও রাজধানী ছিল ফাঁকা। ছবিটি মতিঝিল এলাকা থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ। অবশ্য যে হারে মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন, সে অনুযায়ী এখনো ফিরতি যাত্রা শুরু হয়নি। ফলে শনিবারও ঢাকার রাস্তাগুলো ছিল অনেকাংশেই ফাঁকা। অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঈদের তৃতীয় দিনেও পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে।

এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর ফাঁকা রাস্তায় দাপট ছিল রিকশার। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তাদের অনেকের এখন মূল ভরসা রিকশা। অবশ্য গণপরিবহণও চলাচল করছে সীমিত পরিসরে। এসব পরিবহণে

ঝামেলাহীনভাবেই যাতায়াত করতে পারছেন রাজধানীর বাসিন্দারা।

ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় রিকশা দাপট দেখালেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন রিকশার চলাচলও বেশ কম। যারা রিকশা চালাচ্ছেন তারা অন্য সময়ের তুলনায় যাত্রীদের কাছ থেকে এখন কিছুটা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।

এদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় গণপরিবহণের সংখ্যা বেশ কম। গণপরিবহণের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় বেশি দেখা গেছে। এর পাশাপাশি সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করছে দেদার। সিএনজির তুলনায় রাস্তায় রিকশার সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল, দিলকুশা অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, অফিসগুলোতে তালা ঝুলছে। রাস্তাগুলো প্রায় জনশূন্য। ফাঁকা রাস্তায় রিকশা চালিয়ে যাওয়া আজিজুলের সঙ্গে কথা হয় দিলকুশা রূপালী ব্যাংকের সামনে। তিনি বলেন, আমাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই গ্রামে যাইনি। ঢাকায় থেকে গেলাম কিছু বাড়তি আয়ের আশায়। গত দু'দিনে কিছু মাংস পেয়েছি। তবে রাস্তায় যাত্রী খুব কম। অল্প কিছু ভাড়া মারতে পেরেছি। আগামীকাল আরও কিছু ভাড়া মেরে জামালপুরে গ্রামের বাড়ি যাব।

এদিকে সকাল থেকে সাভার, পল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, রামপুরা এলাকা ঘুরেও রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা যায়। রামপুরা কাঁচা বাজারের সামনে কথা হয় রিকশাচালক মাহাবুব আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, গ্রামে বউ-বাচ্চা আছে। ওদের জন্য ঈদের আগে কিছু টাকা পাঠিয়েছে। আরও কিছু টাকা গুছিয়ে আমি ক'দিন পর রংপুরে গ্রামের বাড়ি যাব।

তিনি বলেন, এখন ঢাকার রাস্তায় রিকশা চালাতে কষ্ট কম। ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ এখন গ্রামে। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপও কম। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে না। কিন্তু যাত্রী সংখ্যা কম। আয়ও হচ্ছে কম।

খিলগাঁও থেকে রিকশায় করে যাত্রাবাড়ী যাওয়া নার্গিস আক্তার বলেন, আমি আব্বু-আম্মুর সঙ্গে খিলগাঁওয়ে থাকি। বড় ভাই যাত্রাবাড়িতে থাকেন। ভাইয়ার বাসায় যাচ্ছি। খিলগাঁও থেকে যাত্রাবাড়ী এটুকু রাস্তার জন্য ২০০ টাকা ভাড়ায় রিকশা ঠিক করেছি। অন্য সময়ে ভাড়া আরও অনেক কম।

তিনি বলেন, ঈদের দোহাই দিয়ে রিকশা চালকরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে। আমাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। আবার বাসেও উঠতে পারি না। বাসে উঠলেই বমি হয়। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশায় যাচ্ছি।

এদিকে রাস্তা ফাঁকা থাকায় যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় রাস্তার ওপরে কাউকে কাউকে পশু কোরবানি করতে দেখা যায়। গরুর মাংস কাটতে ব্যস্ত থাকা মিলন নামের এক কসাই বলেন, এটি কোরবানির গরু। তিন দিন পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া যায়। এ কারণে শনিবারও ঢাকায় কেউ কেউ কোরবানি দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে