সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন জেলার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত পানিবন্দি হাজারো পরিবার

যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত সারিয়াকান্দিতে তীররক্ষা বাঁধের কিছু অংশে ধস
যাযাদি ডেস্ক
  ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে কয়েক দিন ধরে সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় যমুনা নদী ও কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া কাজিপুরের মেঘাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যমুনার পানি বাড়ায় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে তীররক্ষা বাঁধ ও নদী ভাঙন রোধে নির্মিত স্পারের বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলে স্পার রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।

যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের সব নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে

প্রতিদিনই চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের শাকসবজি, বীজতলা ও রোপা আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল। এদিকে, টানা এক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়তে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের তিন উপজেলার চার ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, আরও দুই-এক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

অন্যদিকে, আগামীকাল শনিবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তেমন বৃষ্টি না থাকায় দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ কারণে বেশ ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯৩ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)। তবে পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা নেই।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলনবিলসহ করতোয়া, ইছামতী, বড়াল, ফুলজোড় ও হুরাসাগর নদীর পানিও বেড়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ৪২টি ইউনিয়নে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে। পানি উঠতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিতে। এর মধ্যে চৌহালী উপজেলার কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে। এছাড়া সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছড়া, কালিয়া হরিপুর, সয়দাবাদ ইউনিয়নের মানুষগুলোও দুর্ভোগে রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার পানিতে গো-চারণভূমি ও বিস্তীর্ণ ঘাসের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গো-খামারিরা। খামারিদের বাড়িতে ছোট স্থানে গাদাগাদি করে গবাদিপশু পালন করায় নানা রোগে সংক্রমিত হচ্ছে গবাদিপশু। পাশাপাশি সবুজ ঘাস না থাকায় কচুরিপানা, খড় ও দানাদার খাদ্য খাওয়াতে বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে খামারিদের। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হেকমত আলী জানান, এ উপজেলার ২ হাজার ১৯০টি পরিবারের অন্তত সাড়ে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, 'পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজীপুর উপজেলার ২০৩ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন ১৫৫ হেক্টর, সবজি ১৫ হেক্টর, আউশ ১২ হেক্টর, বীজতলা ৮ হেক্টর, কলা ৩ হেক্টর ও আখ ১০ হেক্টর।'

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে তবে কাজিপুর পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি বাড়তে পারে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এবার ভারী বন্যার আশঙ্কা নেই।'

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বৃহস্পতিবার সকালে সারিয়াকান্দিতে ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া তীররক্ষা বাঁধ ও নদীভাঙন রোধে নির্মিত স্পারের বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে এসব এলাকায় বসবাসরত মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে পস্নাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বুধবার রাতে উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাসনাপাড়া স্পারে আকস্মিক ধস নামে। স্পারের কংক্রিট ও মাটির শ্যাংকের মাঝে এই ধস নামে। নদীর তীব্র স্রোত আঘাত হানায় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে হাসনাপাড়া স্পার-২ এর ৩০ মিটারের একাংশ ধসে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে এটি। জিও ব্যাগ ফেলে স্পার রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬ ইঞ্চি থেকে এক ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় নদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে আবারও কমতে শুরু করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার সব নদ-নদীর পানি কমতে থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ সময় নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর, উলিপুরের বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, হাতিয়া এবং চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলের আমন ক্ষেত ও কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার চরাঞ্চলের হাজারেরও বেশি পরিবারের ঘরে পানি প্রবেশ করায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাসিন্দাদের রান্নার চুলা ও শৌচাগার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন এসব পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ। নারী, শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলো।

মুসার চরের বাসিন্দা মতিয়ার বলেন, 'এবার নিয়া মৌসুমে চারবার পানি উঠল। ঘরের ভেতর কোমর সমান পানি। ক্যামনে ভালা থাকি। চরের সব পরিবারের ঘরে পানি। সাহায্য দরকার কিন্তু সবাই সাহায্য পাইতাছে না। ত্রাণ বিতরণ নিয়া অনিয়ম হইতাছে।'

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, 'ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডের কমপক্ষে চার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি। এসব পরিবারের ঘরের ভেতর হাঁটু থেকে বুক সমান উচ্চতায় পানি। ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া নতুন চর, মাঝিপাড়া, ফকিরের চর, পূর্ব বালাডোবা, উত্তর বালাডোবা, মুসার চর, মশালের চরসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো পানিবন্দি মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এসব পরিবারকে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলমারীর নয়ারহাট ও অষ্টমীরচর ইউনিয়নের কয়েকশ' পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়ির আঙিনা ও ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার তিন ইউনিয়নের কয়েকশ' হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়নের হাতিয়া বকসি, কাজলডাঙা, গয়নার পটল, উত্তর খাউরিয়ার চর পশ্চিমপাড়াসহ অন্যান্য এলাকার প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি। এসব পরিবারের অনেকের জীবন ঘরের ভেতর চৌকিতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাদের খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় একটি পরিবারকেও তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ইউনিয়নের কমপক্ষে দেড়শ' হেক্টর জমির ছিটা আমন ও কালাই ক্ষেত পানিতে তলিয়ে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, 'পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা বিতরণ চলছে। যেসব এলাকায় এখনো সহায়তা পৌঁছায়নি সেসব এলাকায় দ্রম্নত পৌঁছে যাবে। আমি সেভাবেই নির্দেশনা দিচ্ছি।'

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, সঙ্কোষ ও গঙ্গাধরসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পস্নাবিত হয়েছে বিভিন্ন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার সহস্রাধিক মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকট।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি বন্যায় বিভিন্ন এলাকা পস্নাবিত হয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ। রান্নাঘরে পানি ওঠায় চুলোয় আগুন জ্বালাতে না পেরে একবেলা কিংবা আধাবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এদিকে রাস্তার ওপর পানি থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্কুল-কলেজে যেতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। কাজে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ।

উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের কপিলের চরের আব্দুল হামিদ জানান, তার ছেলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। একবুক পরিমাণ পানি পার হয়ে কিংবা সাঁতরে পানি পাড়ি দিতে হয়। তাই তার ছেলে এখন স্কুলে যায় না। একই অবস্থা ওই এলাকার শুকুর আলীর মেয়ে আল্পনা খাতুনসহ অনেকের। তিনি আরও জানান, নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলায় চরে যেতে হয় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। ফলে ঘরের ভেতরেই দিন-রাত কাটছে তাদের।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা জাহান বলেন, 'এখনো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে আছে। আমরা খোঁজখবর রাখছি। যথেষ্ট ত্রাণও মজুত রয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন বন্যাকবলিতদের পাশে থাকার জন্য প্রস্তুত।'

বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ?ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতেও নেই তেমন বৃষ্টি। অনেক জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ ভ্যাপসা গরমও পড়েছে। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'শনিবারের দিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেটে বৃষ্টি বাড়তে পারে। তবে বৃষ্টি হলেও তা জনজীবনে তেমন প্রভাব ফেলবে না। বুধবার ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, মাদারীপুরসহ দেশের অনেক জায়গায় তাপপ্রবাহ ছিল। বৃহস্পতিবার এই তাপপ্রবাহ থাকলেও শুক্রবার থেকে দিনের তাপপ্রবাহ অনেক জায়গায় কমে যেতে পারে।'

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণও হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে