শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে খুলছে স্বপ্নের সেই উড়াল সড়ক

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সড়ক) একাংশ ১৪ নভেম্বর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগরীতে প্রথম উড়াল সড়কের উদ্বোধন করবেন।

এদিকে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়িত বাকলিয়া সংযোগ সড়ক এবং বায়েজিদ-ভাটিয়ারী সংযোগ সড়ক নামের দু'টি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই দু'টি সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। উড়াল সড়কসহ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএ'র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পগুলোর কারণে চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনসহ যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক দ্রম্নত ও সহজ হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ৩টি প্রকল্প ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। নতুন দু'টি সড়ক ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর ফলে মানুষ আগের তুলনায় অনেক কম সময়ে গন্তব্যে যাতায়াত করতে হবে। নগরের যানজটও অনেকাংশে দূর হবে।

সিডিএ সূত্র জানায়, নগরের পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অবশ্য ২০১৭ সালে অনুমোদনের সময় প্রকল্প ব্যয় ছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। অনুমোদনের প্রায় দুই বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

সূত্র আরও জানায়, এখন প্রাথমিকভাবে পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত অংশ চালু হবে। আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার জন্য ১৪টি র?্যাম্প থাকার কথা থাকলেও তা এখনই চালু হচ্ছে না। সম্প্রতি এগুলোর জন্য দরপত্র দেওয়া হয়েছে। টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত অংশের কাজ বাকি রয়েছে। অর্থাৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরোপুরি সুফল এখনই পাওয়া যাবে না। মূলত চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াত দ্রম্নত ও নির্বিঘ্ন করার জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এদিকে, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ভাটিয়ারি পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৫৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে অনুমোদিত এই প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো শেষ হয়নি। তবে নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও ২০১৯ সালের পর থেকে নতুন এই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সড়ক ব্যবহারকারী গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হবে। টোলহার চূড়ান্ত করা হলেও কবে থেকে তা কার্যকর করা হবে, তা ঠিক করা হয়নি।

নগরের নতুন আরেকটি সড়ক হচ্ছে বাকলিয়া সংযোগ সড়ক। বাকলিয়া সংযোগ সড়ক নগরের সিরাজউদ্দৌলা সড়ক এবং শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ককে যুক্ত করেছে। এই সড়ক নগরের চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের পাশ থেকে শুরু হয়ে কালামিয়া বাজারে গিয়ে শেষ হয়েছে। বৃহত্তর বাকলিয়ার ডিসি সড়ক, বগার বিল, মৌসুমি আবাসিক এলাকা, সৈয়দ শাহ এলাকার ওপর দিয়ে এই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। চার লেনের সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র দেড় কিলোমিটার। এটি নির্মাণ করতে সাত বছর সময় লেগেছে সিডিএ'র। যদিও তিন বছরেই কাজ শেষ করার কথা ছিল। 'বাকলিয়া সংযোগ সড়ক' নামে পরিচিত নতুন সড়কটি করতে ২০৫ কোটি টাকার পরিবর্তে ২১৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে