মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ক্রীড়াঙ্গনে অরাজনৈতিক ঐক্য দরকার :মির্জা ফখরুল

বিশেষ প্রতিনিধি
  ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ক্রীড়াঙ্গনে অরাজনৈতিক ঐক্য দরকার :মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অতিথিদের নিয়ে শুক্রবার রাজধানীর পলস্নবীর সিটি ক্লাব মাঠে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন -যাযাদি

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অরাজনৈতিক ঐক্য দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'আমাদের যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে, এই যাত্রায় আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে বেশি দরকার, অরাজনৈতিক একটা ঐক্য এবং মেধার চর্চা। আর এই সুযোগ যেন সবাই পায়। এই সুযোগে সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড় যেন বেরিয়ে আসে।

শুক্রবার রাজধানীর পলস্নবীতে সিটি ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে '২৬টি থানা নিয়ে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমরা আগস্ট মাসে দেখেছি, যে ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার উৎখাতের ব্যাপারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে ছাত্র এবং জনগণ। দীর্ঘ ১৫ বছর এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টরা বাংলাদেশ শাসন করে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করে ফেলেছে।'

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে, তরুণ-যুবকদের রাজনীতি, একইসঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনে তাদের যে পদচারণা থাকা উচিত এবং খেলাধুলার বিষয়টা হওয়া উচিত। অর্থাৎ সত্যিকার অর্থে তারেক রহমানকে বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন, যে কথা তিনি বারবার বলেন। তিনি একটা সত্যিকার অর্থে সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চান। সেখানে তরুণদের ভূমিকাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভূমিকা।'

তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দল ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে, এটা আমি কখনো দেখেনি। এটা আধুনিক রাজনৈতিক চিন্তা। সেই চিন্তা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। এজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।'

অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

'গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই থাকবে'

এদিকে দেশে পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি আছে দুটি। এর একটি সেনাবাহিনী, আরেকটি হলো জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের দেওয়া এমন বক্তব্যে কষ্ট পেয়েছেন বিএনপি নেতারা। এ কথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কোনো উদ্যোগ বিএনপির পক্ষ থেকে নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এমন কোনো দূরত্বের কিছু নেই। তারাও গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়। মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি। কিন্তু যদি কেউ বলে, শুধু তারাই দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাদের কষ্ট লাগবেই। আমরা তো বলবো, ভাই কথাটা ঠিক না।

তিনি বলেন, আমরা সবাই দেশপ্রেমিক। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তারপর যদি বলেন শুধু আপনি দেশপ্রেমিক, আপনার আরেক বন্ধু দেশপ্রেমিক। তাহলে তো আমাকে বাদ দিলেন আপনি। এটাতো কষ্ট লাগার কথা। আমরা আশা করবো এরকম কথা কেউ না বলুক।

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করবে কি না, জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতের সঙ্গে ফরমালি যুগপৎ আন্দোলনে আমরা ছিলাম না। তাদের কর্মসূচি আমাদের কর্মসূচি একরকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিলেন। নিশ্চয়ই আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাই আমরা থাকবো, তারাও থাকবে। এটা নিয়ে কনফিউশনের কিছু নেই।

বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। বৈঠকে অন্যন্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নাসিম খান, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস এবং জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে