আজকের যায়যায়দিন

নির্মাণসামগ্রী রাস্তা বা ফুটপাতে যত্রতত্র ফেলে রাখলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড দেওয়া হবে; একই অপরাধ পুনরায় করলে শাস্তি হবে দ্বিগুণ। এছাড়া নির্মাণসামগ্রী ঢেকে না রাখলে বা ঢেকে পরিবহণ না করলেও একই শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

এমন শাস্তির বিধান রেখে 'পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭' সংশোধন করে সম্প্রতি গেজেট প্রকাশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

সেই বিধিমালায় 'কোনো অবকাঠামো নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, মেরামত বা সংস্কার কাজে সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ' শিরোনামে নতুন একটি বিধি যুক্ত করা হয়েছে।

রাস্তা, ড্রেন, ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, মেরামত বা সংস্কার কাজ পরিচালনার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে বিধিতে বলা হয়েছে।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে, নির্মাণ সাইটে যথাযথ অস্থায়ী ছাউনি বা বেষ্টনি স্থাপনসহ নির্মাণাধীন ভবন ঢেকে রাখতে হবে। সব ধরনের নির্মাণসামগ্রী (মাটি, বালি, রড, সিমেন্ট ইত্যাদি) আবৃত বা ঢেকে রাখতে হবে।

'নির্মাণসামগ্রী (মাটি, বালি, সিমেন্ট, ইট, ময়লা-আবর্জনা ইত্যাদি) পরিবহণে ব্যবহৃত ট্রাক, ভ্যান বা লরি আবৃত বা ঢেকে পরিবহণের ব্যবস্থা করতে হবে।'

নতুন বিধি অনুযায়ী, মাটি, বালি, সিমেন্ট, ইট, ময়লা-আবর্জনা ইত্যাদি পরিবহণে ব্যবহৃত ট্রাক, ভ্যান বা লরির চাকার কাদা-মাটি বা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্মাণসামগ্রী (মাটি, বালি, সিমেন্ট ইত্যাদি) রাস্তায়, ফুটপাতে বা যত্রতত্র ফেলে রাখা যাবে না।

বিধিমালায় বলা হয়, নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ বা মেরামত স্থলের আশেপাশে দিনে কমপক্ষে দুইবার পানি ছিটাতে হবে এবং পারিপার্শ্বিক পরিচ্ছন্নতাসহ যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই বিধান লঙ্ঘন করলে প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমারা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

পরবর্তী প্রতিবারের অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন বলে নতুন বিধিতে বলা হয়েছে।