শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া আবাসন নয় : মেয়র তাপস

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০
সাপ্তাহিক পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বুধবার নতুন যুক্ত হওয়া ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে যান -ফোকাস বাংলা

ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকায় সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া আবাসন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন মেয়র।

সিটি করপোরেশনের সঙ্গে নতুন সংযুক্ত এ এলাকা পরিদর্শনের সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সম্পত্তি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, করপোরেশনের অনুমোদনবিহীন সব গৃহায়ন প্রকল্প বন্ধ করুন। 'বন্ধ, বন্ধ, বন্ধ। (অনুমোদনহীন) এসব বন্ধ করেন।'

শেখ তাপস বলেন, দক্ষিণ সিটির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডটি অনেকটাই নদীবেষ্টিত এলাকা। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হলেও গ্রামের আবহে ঘেরা এলাকাটি উন্নয়নের ছোঁয়া সেভাবে লাগেনি। বর্ষা মৌসুমে এই ওয়ার্ডের বেশির ভাগ জায়গা পানিবেষ্টিত থাকে। তখন তাদের যাতায়াতের একমাত্র বাহন থাকে নৌকা বা সাঁকো। সেখানে এখনো পরিকল্পিত কোনো আবাসন গড়ে ওঠেনি। তবে গত কয়েক বছরে সেখানে বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠান সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে। মূল ঢাকার সঙ্গে এই ওয়ার্ডের সংযোগের একমাত্র পথ ত্রিমোহিনী বাজারসংলগ্ন একটি সেতু।

মেয়র তাপস বলেন, এখানে কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিনা অনুমতিতে জমি দখল করছে। যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে তারা আবাসন করছে। যেখানে মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। এই এলাকার জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েও কূলকিনারা পাচ্ছে না, ফল পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এরই মধ্যে আমাদের সম্পত্তি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে যে এখানে ড্রেজিং (খননকাজ) বন্ধ করতে হবে। এখানে যত্রতত্র বিনা অনুমতিতে হাউজিং করা যাবে না। প্রয়োজন হলে ওই প্রতিষ্ঠানের যান, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামাদি আমরা বাজেয়াপ্ত করব।

ঢাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা এবং বালু নদীর নাব্যতা ফেরানোর কার্যক্রম চলছে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি কাজ করছে। স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী এই কমিটির সভাপতি। নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রীও এ কমিটির সদস্য। ইতোমধ্যে আমাদের দুটো মিটিং হয়ে গেছে। ঢাকা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো (বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু এবং শীতলক্ষ্যা) যেন নাব্যতা পরিপূর্ণ ভাবে ফিরে পায়, সেই বিষয়ে কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে।

মেয়র তাপস বলেন, খালগুলো থেকে পানি নিষ্কাশন হয়ে নদীগুলোতে যাচ্ছে। বালুনদী পরিদর্শন করেছি, রামপুরা এবং জিরানী খাল হয়ে পানি বালু নদীতে প্রবাহিত হয়। বালু নদীও কিন্তু ভরাট হয়ে যাচ্ছে। রামপুরা খালের একটি বড় অংশ ভরাট হয়ে গেছে। এর ফলে পানি প্রবাহ সঠিক নেই। আমরা খালের ভেতরে পরিষ্কার করলেও পানির প্রবাহ ঠিক না থাকলে পানি সঠিকভাবে নিষ্কাশিত হবে না। সামগ্রিক বিষয়গুলো আমরা পরিকল্পনার আওতায় আনছি এবং ব্যাপক কার্যক্রম চলছে।

এ সময় দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উলস্নাহ নুরী, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে