রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড

ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকা তিন মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার

২০১৮ সালের ২৪ আগস্ট গ্রেপ্তার সাইফুল তার সহযোগীদের নিয়ে আজাদকে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়
যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

চাঞ্চল্যকর তিন হত্যা মামলার তিন পলাতক আসামিকে পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। আসামিরা ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র্

যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানান, চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাটোরের লালপুরের একটি চায়ের দোকানে প্রকাশ্যে হত্যাকান্ডের শিকার হন ওসমান গনি (৪৬)। ঘটনার সময় তিনি নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন ভাঙ্গাপাড়া এলাকার চিলান গ্রামের জাহাঙ্গীরের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। হামলাকারীরা ওসমান গনিকে হাত-পায়ের রগ কেটে কুপিয়ে হত্যা করে।

গ্রেপ্তার সাইফুলের ভাষ্য, ঘটনার সময় সাইফুল ইসলাম তার ৫ থেকে ৬ জন সহযোগীকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র, লোহার হাতুড়ি, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে গনির ওপর হামলা চালায়। তারা ওসমান গনির হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ওসমান গনিকে হত্যা করে। খবর পেয়ে ওসমান গনির পরিবারের লোকজন সেখানে গেলে তাদের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা।

এএসপি শিহার করিম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা কুতুব উদ্দিন বাদি হয়ে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আলোচিত ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু করের্ যাব-২। গত ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গোয়েন্দা তথ্যের সূত্র ধরে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার হয় হত্যাকান্ডের মূল আসামি মো. সাইফুল ইসলাম (৩৯)। তার পিতার নাম মো. সাত্তার প্রামাণিক। বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর থানা এলাকায়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এদিকে, শুক্রবার দুপুর ২টায়র্ যাব-১০ এর অপর এক অভিযানে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া এলাকায় ইজিবাইক চালক আবুল কালাম আজাদ (৩৫) হত্যা মামলার মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে কাল্টু (২৭)।

র্

যাব জানায়, ২০১৮ সালের ২৪ আগস্ট গ্রেপ্তার সাইফুল তার সহযোগীদের নিয়ে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আজাদের গাড়িটি ভাড়া করে। ইজিবাইক নিয়ে নির্জন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন আজাদ। সুযোগ বুঝে আজাদকে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় আজাদের মা মোখলেসে বেগম বাদি হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজাদ গ্রেপ্তার হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় আদালত সাইফুলকে মৃতু্যদন্ডের আদেশ দেন। রায়ের পর থেকেই আজাদ ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে ছিল। আজাদকে গঙ্গাচড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র্

যাব-৪ এর আরেক অভিযানে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সাভারের গেন্ডা থেকে দীর্ঘ ২০ বছর পর গ্রেপ্তার হয়েছে নওগাঁ জেলার আত্রাই থানায় বহুল আলোচিত রতন মিয়া হত্যা মামলার মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হামিদ (৪৫)।

র্

যাব জানায়, গ্রেপ্তার আসামির বাড়ি নওগাঁ জেলায়। হামিদের বক্তব্য মতে, পারিবারিক কলহের জেরে ২০০৪ সালের ১৬ মে নওগাঁ জেলার আত্রাই থানাধীন সাহেবগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়িতে রতন মিয়াকে তিনি ও তার সহযোগীরা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ যাওয়ার আগেই হামিদ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই রিপন মিয়া বাদি হয়ে আত্রাই থানায় হামিদ ও তার সহযোগীদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই মামলায় ২০১০ সালের ১৯ মে হামিদকে মৃতু্যদন্ডে দন্ডিত করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামি পলাতক। নাম-পরিচয় গোপন রেখে নরসিংদী জেলার রায়পুর থানা এলাকায় বিয়ে করে। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে