রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

এসি মিলানকে ফের হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার

ক্রীড়া ডেস্ক
  ১৮ মে ২০২৩, ০০:০০
জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ইন্টার মিলানের লাউতারো মার্টিনেজ ও রোমেলু লুকাকু -ওয়েবসাইট

ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো নাটকীয় গল্প লিখতে পারল না এসি মিলান। বরং নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে আরও একবার ধুঁকল তারা। তাদেরকে ফের হারিয়ে ১৩ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল ইন্টার মিলান। সান সিরোয় মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লাউতারো মার্র্টিনেজের একমাত্র গোলে জিতেছে ইন্টার। প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে জেতা দলটি ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় জায়গা করে নিয়েছে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে।

২০০৯-১০ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার। সেবারই নিজেদের তৃতীয় ও শেষ শিরোপা জিতেছিল তারা। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠবার ফাইনালে ওঠার পথে দলটি গড়ল দারুণ এক কীর্তি। নিজেদের ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো এক মৌসুমে চারবার হারাল মিলানকে।

যেমন দরকার, মিলানের শুরুটা ছিল তেমনই। প্রথম মিনিট থেকেই সাজিয়ে বসে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা। প্রথম লেগে নিজেদের কাজ অনেকটাই সেরে রাখা ইন্টারের মনোযোগ ছিল পাল্টা আক্রমণে। ম্যাচের পাঁচ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত মিলান। ৩৫ গজ দূর থেকে থিও এরনঁদেজের বুলেট গতির শট বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে। ঠিকভাবে হয়তো দেখতেও পারেননি ইন্টার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। জায়গা থেকেই নড়েননি তিনি। পাঁচ মিনিট পর ফের বড় বাঁচা বেঁচে যায় ইন্টার। অলিভার জিরুদের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে বলের নাগাল পাননি ওনানা। ফাঁকা জালে বল প্রায় পাঠিয়েই দিচ্ছিলেন ব্রাহিম দিয়াস। প্রায় গোললাইন থেকে হেড করে ক্লিয়ার করেন মাত্তেও দারমিয়ান।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে তুমুল জমে ওঠা লড়াইয়ে ৩৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত মিলান। রাফায়েল লেয়াওয়ের দূরের পোস্টে নেওয়া বাঁকানো শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় মিলান। হাঁকান কালহানোগস্নুর ফ্রি কিকে মার্টিনেজের হেডে বল মাইক মিয়াঁর হাত ছুঁয়ে মুখে বাধা পায়। ৪১ মিনিটে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের বুলেট গতির শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও প্রতিপক্ষের রক্ষণে প্রবল চাপ ধরে রাখে মিলান। কিন্তু তাদের আক্রমণের ঝাপটা অনায়াসেই সামাল দিতে থাকে ইন্টার।

ম্যাচের ৭৪ মিনিটে এই অর্ধের প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় দলটি। পাল্টা-আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমবার শট নিতে পারেননি মার্র্টিনেজ। পরেরবার বল ফিরে পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে